এবার রূপনারায়ণপুরে আগুন লাগানো হল তৃণমূল নেতার গ্যারাজে। বুধবার গভীর রাতে কেউ এই আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, দু’টি মোটরবাইক পুড়ে গিয়েছে। গ্যারাজের ভিতরে থাকা একটি চার চাকার গাড়ি কোনও ভাবে আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে অভিযোগকারী জানান, সময়মতো আগুন লাগার বিষয়টি টের না পেলে বাড়ি ভর্তি সকলের ভয়াবহ পরিণতি হতে পারত।
সালানপুরের বাসিন্দা শচীন নাগ। তিনি এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিয়সাবেই পরিচিত। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে কোনও রাজনৈতিক কারণে এই ঘটনা কি না তা নিয়েও নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ, বাড়ির সমস্ত দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে আগুন লাগানো হয়েছে। সালানপুর ব্লকের জেমারি গ্রামে এই ঘটনার পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সালানপুর থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জেমারি হাটতলা সংলগ্ন প্রাইমারি স্কুল অঞ্চলে বাড়ি ইসিএল কর্মী অসীম নাগের। পরিবার নিয়ে থাকেন এখানকার দোতলা বাড়িতে। তাঁরই ছেলে শচীন নাগ। তিনি এলাকায় বেশ পরিচিত নাম। নাগ বাড়ির ভিতরই গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা আছে। ছাউনি দিয়ে অস্থায়ী গ্যারাজ তৈরি করে সেখানেই বাইক, চার চাকার গাড়ি রাখা হয়। সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার-সহ বাড়ির অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও রাখা হয়।
নাগ বাড়ির সদস্যরা জানান, মাঝ রাতে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় দুই সিভিক পুলিশ সেখানে আগুন জ্বলতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকদের ডেকে তোলেন। কিন্তু বাড়ির লোকেরা বুঝতে পারেন দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করা আছে। সে সময় স্থানীয় লোকজন পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে দরজা খুলে দেন। যদিও ততক্ষণে দু’টি বাইক সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। বাগানে রাখা বোলেরো গাড়িতে পেট্রোল ছেটানো হয়েছিল বলে অভিযোগ।
ঘটনাস্থলে একটি মদের বোতলে বেশ কিছুটা পেট্রোল দেখতে পাওয়া যায় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। অনুমান ওই বোতলে পেট্রোল ঢেলে তা ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাইক ও বোলেরো গাড়িতে। যদি ওই দুই সিভিক পুলিশ সেই সময় ওই এলাকা দিয়ে না যেতেন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেই অভিযোগ। এমনকী পাশেই গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। তাতেও আগুন ধরে বিপদ আরও বাড়তে পারত বলে আশঙ্কা শচীন নাগের। কে বা কারা কেন এই ঘটনা ঘটাল তা জানতে তদন্তে নেমেছে সালানপুর পুলিশ। তৃণমূল নেতা অবশ্য বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন।