আমেদাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় নজিরবিহীন রায় দিল গুজরাতের বিশেষ আদালত। দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৪৯ জনের মধ্যে ৩৮ জনকে ফাঁসি এবং বাকিদের যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। দেশে প্রথমবার একসঙ্গে এতজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় শোনাল আদালত।
২০০৮ সালের ২৬ জুলাই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল আহমেদাবাদ। সেদিন সব মিলিয়ে ৭০ মিনিটের মধ্যে ২১টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তাতে মৃত্যু হয় ৫৬ জনের। আহত হন ২০০-রও বেশি মানুষ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই বিস্ফোরণের যড়যন্ত্র করেছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন নামের এক জঙ্গী গোষ্ঠী। মনে করা হয়, ২০০২ সালে গোধরা অগ্নিকাণ্ডের পরে গুজরাটে যে দাঙ্গা হয়, তারই বদলা নিতে এই নাশকতামূলক চক্রান্ত করেছিল জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
প্রাথমিক ভাবে এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় ৮৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করার অভিযোগের পাশাপাশি ইউপিএ ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে শুনানি শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৩ সালে কয়েকজন অভিযুক্ত জেল চত্বরে ২১৩ ফুট গভীর গর্ত করে পালানোর ছক কষেছিল। হলিউডি সিনেমাকেও টেক্কা দেওয়া সে পরিকল্পনা পুলিশি তৎপরতায় ভেস্তে যায়। দীর্ঘ দিন ধরেই চলছিল মামলাটির শুনানিতে সব মিলিয়ে ১ হাজার ১০০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ২৬ জন ছিল রাজসাক্ষী।
অবশেষে কয়েকদিন আগে রায় দেয় আদালত। মামলায় অভিযুক্ত ৭৭ জনের মধ্যে ২৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দোষী সাব্যস্ত করা হয় ৪৯ জনকে। এবার তাদের মধ্যে ৩৮ জনকে শোনানো হল ফাঁসির সাজা।