৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের হওয়ার আগে থেকেই গোটা দেশে বইছে বিজেপি বিরোধী হাওয়া। সেই ফলাফল বেরাতে দেখা যায়, সত্যিই ওই ৫ রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে পদ্ম। যার ফলে আরও অনেকটা আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করেই আসরে নেমেছে বিরোধীরা। যার জেরে এবার বিজেপি বিরোধী আসামের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলেও।
আসামে এখন ভোট গণনা চলছে ঢিমেতালেই। যদিও এককভাবে সামান্য এগিয়ে বিজেপি, তবে তারা যে খুব একটা সন্তোষজনক নেই তা স্বীকার করছেন খোদ দলের নেতৃত্বও। কারণ বিরোধী কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ-এর প্রাপ্ত আসন যোগ করলে দেখা যাচ্ছে, তাতে বেশ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে পদ্মশিবির। রাজনীতিবিদদের একাংশের মতে, আসামে গেরুয়া শিবিরের এমন টালমাটাল পরিস্থিতির জন্য দায়ী এনআরসি ইস্যুই।
গত ৫ ও ৭ ডিসেম্বর দু দফায় আসামে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চায়েত ভোট। রাজ্যের মোট ২৬ হাজার ৮০৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭৮ হাজার ৫৭১ জন। এই নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটারকে চারটি করে ভোট দিতে হয়েছে। সবই ভোটই হয়েছে ব্যালটে। তাই গণনায় দেরি হচ্ছে। ভোটগণনা শুরু হয়েছে বুধবার সকাল ৮টায়।
বরাক উপত্যকা ও নামনি অসমের ফল প্রকাশিত হলে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের আসনের ফারাক মুছে যাবে বলে দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা। এরই মধ্যে খোদ জোট সরকারের শরিক দল অসম গণ পরিষদের অভিযোগ, গণনায় প্রশাসনকে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে বিজেপি। জোট ছেড়ে বেড়িয়ে আসার জন্য দলীয় নেতৃত্বের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছেন অসম গণ পরিষদের নেতা প্রফুল্লকুমার মহন্ত।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতৃত্বকে উদ্বেগে রেখে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা হেভিওয়েট নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়ে দিয়েছেন,‘শারীরিক কারণে’ তিনি আগামী বিধানসভা ভোটে লড়বেন না। ফলে আসামে যে এখন বিজেপি বিরোধী হাওয়ায় মাথা তুলতে পারছে না পদ্ম, তা বলাই বাহুল্য।