বিগত কিছু সময় ধরে চড়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সিইএসসি’র বিরুদ্ধে দানা বাঁধছিল গ্রাহকদের ক্ষোভ। এবার সংস্থার বিদ্যুতের মাশুল হার সংশোধন নিয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্দেশে গ্রাহকদের একটু স্বস্তি মিলল। কারণ বিদ্যুতের খরচ বৃদ্ধির যুক্তি দিয়ে সিইএসসি ২০১৮–১৯ এবং ২০১৯–২০ সালের মাসুল বৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, গড় মাসুল এবং মাসিক পরিবর্তনশীল খরচ ধরে যে হার চালু রয়েছে সেই খরচ তুলতে এটা যথেষ্ট। এমনকী সিইএসসি অপ্রচলিত বিদ্যুৎ কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি বলেও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, সিইএসসি প্রস্তাব দেয় কমিশনকে, ওই দুই অর্থবর্ষের জন্য ইউনিট প্রতি যথাক্রমে ৮.৩২ টাকা ও ৮.৫১ টাকা। কিন্তু কমিশন জানিয়েছে ইউনিটে ৭.৩১ টাকা। ২০১৭–১৮ সালে মাশুল ছিল ৭.০২ টাকা। মাসে জ্বালানির পরিবর্তনশীল খরচ ধরা হয়েছিল ২৯ পয়সা। এবার তা জুড়েছে কমিশন। আর বলা হয়েছে, মাসে জ্বালানির পরিবর্তনশীল খরচ নিয়ে বর্তমান মাশুল হার বাবদ সংস্থার আয় ওই দুই অর্থবর্ষের খরচ তোলার জন্য যথেষ্ট।
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী তিন বছরের জন্য বণ্টন সংস্থাগুলির মাশুল হার নির্ধারণ করে রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। সামনেই গ্রীষ্মের মরসুম আসছে। তাতে পাখা-এসি চলবে গৃহস্থের বাড়িতে। তাতে বিল বেশি এলে বিপাকে পড়তে হবে নাগরিককে। কারণ এখন করোনাভাইরাসের পর মানুষের উপার্জনে টান পড়েছে। তার উপর বিদ্যুৎ বিলে চাপ বাড়লে নাভিশ্বাস উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।আবার সিইএসসি’র মাশুল বৃদ্ধির প্রস্তাবে রাজি নয় সংগঠন অ্যাবেকা। একই পথে হাঁটতে চায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সিইএসসি সূত্রে খবর, মাশুল বৃদ্ধিতে রাশ টানলে বণ্টন সংস্থাগুলির বোঝা বাড়বে। কিন্তু রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা মাসুল বৃদ্ধির প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ায় খুশি নয় সিইএসসি। তবে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি এখনও।