এবার স্কুলশিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকতর করে তুলতে শিল্পপতিদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে স্কুল গড়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে একটি খসড়া তৈরি হয়েছে। পিপিপি মডেলে চলবে স্কুলগুলি। স্কুলশিক্ষা দফতর এ বিষয়ে একটি গাইডলাইনও তৈরি করেছে। নয়া ব্যবস্থায় সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলি মার্জড হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই ২৯০০ স্কুলকে মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করেছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর সরকারের অধীন স্কুলগুলি থেকে গড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় ১২ লক্ষ এবং উচ্চমাধ্যমিক দেয় ৯.৫ লক্ষ পড়ুয়া। এত বিশাল সংখ্যার ছাত্র-ছাত্রী সর্বোচ্চ সমমানের পঠন-পাঠনের সুযোগ পায় না। সরকারের অব্যবহৃত পরিকাঠামো এবার সেই কাজে ব্যবহৃত হবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে চলবে স্কুল। জমি ও পরিকাঠামো সরকারের। প্রশাসনিক দেখভালের দায়িত্বে থাকবে বেসরকারি সংস্থা। কোন মাধ্যমে স্কুল চলবে তা ঠিক করবে সেই বেসরকারি সংস্থা। অর্থাৎ স্কুলটি বাংলা, নাকি হিন্দি নাকি ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা চলবে তা ঠিক করবেন লগ্নিকারী। তাঁরাই হবেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগকর্তা। সমগ্র শিক্ষা অভিযানের প্রকল্প অধিকর্তা, স্কুলশিক্ষা দফতরের কমিশনারের প্রতিনিধি, অর্থ দপ্তরের প্রতিনিধি ও আইন দফতরের প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হবে। কমিটি গোটা বিষয়ে নজরদারি করবে।