কোভিডের প্রকোপ কাটিয়ে ক্রমশ সুস্থ হচ্ছে বাংলা। আর দিন দুয়েক পর খুলে যাচ্ছে রাজ্যের প্রাইমারি স্কুল। প্রায় ২ বছর পর স্কুলে যাবে খুদেরা। তার আগে রাজ্যের করোনা গ্রাফ দেখে স্বস্তিতে চিকিৎসক মহল। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় একধাক্কায় কমেছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কমেছে দৈনিক মৃত্যুও। অনেকটা নেমেছে দৈনিক সংক্রমণের হারও। সবমিলিয়ে সুস্থতার দিকে আরও একধাপ এগোল বাংলা। কলকাতাও অনেকটা কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩২০ জন। যা আগের দিনের তুলনায় অনেকটা কম। পজিটিভিটি রেট ১.২৯ শতাংশ। কমেছে মৃত্যুও। একদিনে রাজ্যে করোনার বলি হয়েছেন ২৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩৮ শতাংশ।
পাশাপাশি, রাজ্য স্বাস্থ্যদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৪৯ জন উত্তর ২৪ পরগনার। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিন ফের প্রথমে ওই জেলা। আগের দিনের তুলনায় বেশ খানিকটা কমেছে সংক্রমণ। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতার। একদিনে আক্রান্ত সেখানকার ৩৪ জন। আগেরদিন ওই জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬২। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে ফের তৃতীয় স্থানে জলপাইগুড়ি। একদিনে ওই জেলায় নতুন করে সংক্রমিত ২৫ জন। চতুর্থ স্থানে দক্ষিণ দিনাজপুর। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ২১ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের কম বেশি সব জেলা থেকেই নতুন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০,১১, ২২১। একদিনে রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ২৪ হাজার ৭৭৬ জনের। একদিনে করোনা প্রাণ কেড়েছে রাজ্যের ২৩ জনের। দৈনিক মৃত্যুর নিরিখে প্রথম স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে করোনার বলি হয়েছেন সেখানকার ৯ জন। কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। যা স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ওই জেলার বাসিন্দাদের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১, ০৪০ জন। একদিনে করোনাকে জয় করে ঘরে ফিরেছেন ১, ৩১৪ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৯, ৭৮, ৫৫৫।