জয়জয়কার তৃণমূলের। বিধাননগর পুরনিগমে কার্যত একচেটিয়া জয় পেয়েছে তৃণমূল। সহজেই জিতলেন বিধাননগর পুরনিগমের বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। তাঁর জয়ের ব্যবধান ২২৫৯। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন, লড়াই ছিল সিপিএমের প্রার্থী শাশ্বতী মণ্ডলের সঙ্গে। শাশ্বতী পেয়েছেন ১০৫১ ভোট। অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সিপিএম। জয়ের পর আত্মবিশ্বাসী কৃষ্ণা জয় উৎসর্গ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জেতার পর তিনি পৌঁছে গেলেন দলনেত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। সেখান থেকে বেরিয়ে বলেন, “আজ মানুষকে ধন্যবাদ জানানোর দিন। মানুষ যাকে জেতায়, সেই শেষ কথা বলে।” প্রসঙ্গত, বিধাননগরে মোট ৪১টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়েছে। ৩৯টি আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল। তার মধ্যে একটি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস, একটি আসনে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী। বিজেপি খাতাও খুলতে পারেনি। জয়ের পর কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “তিনি এই জয় উৎসর্গ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করছি। আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি, সেই কারণেই সাধারণ মানুষ আমাদের উজাড় করে ভোট দিয়েছেন।”
রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা। বিধাননগরে নতুন বোর্ডের নেতৃত্বে কে থাকবেন? কে হবেন মেয়র? কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে এই নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমাদের দল এ ভাবে চলে না। দলের মধ্যে আলোচনা হবে, দল ঠিক করবে, কে নতুন বোর্ডের মেয়র হবেন, তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, ফল প্রকাশের পরেই একটি সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণা প্রসঙ্গে দলনেত্রী মমতা বলেন, “কৃষ্ণা আমার চিরকালের সহসাথী। ওদের প্রত্যেককে আমি খুব ভাল করে চিনি। আজকের সম্পর্ক তো নয়, ১৯৮৪ সালে আমি যখন যাদবপুরে এমপি হয়ে দিল্লী গিয়েছিলাম, তখন কৃষ্ণা আমার সঙ্গে গিয়েছিল। ৫ বছর আমার সঙ্গে ছিল। আমরা দু’জনে রান্না করতাম। এবং কৃষ্ণা প্রেম করে যে বুয়া (সমীর চক্রবর্তী) কে বিয়ে করেছে, সেটাও আমার বাড়ি থেকেই। ওর অনেক মজার গল্প আছে। আমি চাইব, কারও বিরুদ্ধে কোনও বিদ্বেষ নয়। আমাদের উদ্দেশ্য, সবাই যাতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।”