একুশের ফোটে ভরাডুবির পর থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে শুরু হয়েছে ভাঙন। গেরুয়া শিবির ছেড়ে দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। পুরভোটের দামামা বাজার পরেও দিকে দিকে সেই ধারা অব্যাহত। বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া কামারপাড়ায় তৃণমূল একটি কর্মিসভার আয়োজন করে। বিধায়ক অসিত মজুমদারের ডাকা ওই সভাতেই ২৫ জন কর্মী বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। এর পাশাপাশি, ক্ষোভ ভুলে ঘরওয়াপসি করেছেন কংগ্রেসে মনোনয়ন জমা দেওয়া এক নেতাও।
২৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট দেয়নি দল। বদলে ২৬ নম্বর থেকে দিব্যেন্দু অধিকারী নামের এক নেতাকে এনে টিকিট দেয় দল। সেই অভিমানে কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তৃনমূল নেতা দেবাশিস যশ। এ দিনের কর্মিসভায় তৃণমূলে ফিরলেন তিনিও। ঘাসফুলে ফিরে তিনি বলেন দলের প্রতি ক্ষোভ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। তবে পরে বুঝতে পেরেছেন যে তাঁর ভুল হয়েছিল। তাই শুক্রবারই মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেবেন বলে উল্লেখ করেছেন। দলের প্রার্থীকে জেতাতে কাজ করবেন বলেও বার্তা দেন তিনি।
বিধায়ক অসিত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপি করে অনেকের মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই তৃণমূলে এসে তাঁরা কাজ করতে চাইছেন। আমরা তাঁদের স্বাগত জানিয়েছি। হুগলির চুঁচুড়া পুরসভায় তিরিশে তিরিশ হবে বলেও বার্তা দেন তিনি। বিধায়ক আরও বলেন, এটা আমাদের ট্রায়াল গেম। ফাইনাল গেম এখনও বাকি। তাঁর মতে, মোদী কথায় বিভ্রান্ত হয়ে এরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে যখন বুঝতে পারেন বিজেপি ভারতকে বিক্রি করে দেবে, তখন তাঁরা ফিরে আসছেন।