সামনেই বিধানসভা নির্বাচন উত্তরপ্রদেশ। প্রচারে বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস-সব দলই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে ‘লাভ জিহাদ’ কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ থেকেই স্পষ্ট যে, উন্নয়ন নয়, ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিই তাদের প্রধান লক্ষ্য। স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। নিন্দায় সরব অনেকেই।
প্রসঙ্গত, ‘লাভ জিহাদ’ রুখতে গত বছর নভেম্বরে একটি আইন পাশ করে যোগী সরকার। লখনউয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ‘লোক কল্যাণ সংকল্প পত্র’ নামে ইস্তাহার প্রকাশ করেন। তাতে বলা হয়েছে, লাভ জিহাদের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীকে ১০ বছরের জেল এবং সঙ্গে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। অর্থাৎ ভালবাসায় ধর্মের ভিত্তিতে বিচার করে রাজনীতি চলবে সে রাজ্যে।
অন্যদিকে, কৃষি বিল নিয়ে ধাক্কা খাওয়ার পর কৃষকদের জন্য বিজেপির ইস্তাহারে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। গত বছরের কৃষক আন্দোলনের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। ইস্তেহারে বলা হয়েছে, কৃষকদের জন্য ফ্রি-বিদ্যুৎ থাকবে। কৃষিকাজের জন্য কৃষকদের সহায়তায় এই ঘোষণা। এছাড়াও গম এবং ধানে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের ব্যবস্থা হবে। সেই সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ইস্তাহারে মহিলাদের স্বনির্ভরতার বার্তা দেওয়া হয়েছে। শুধু লাভ জিহাদ নয়, মহিলা স্বনির্ভরতার উপর জোর দেওয়াতেও বিরোধীরা কটাক্ষ করেছে। যে রাজ্যে হাথরসের মতো ঘটনা ঘটে, সময় মতো নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয় না, সে রাজ্যে মেয়েরা ভাল থাকবে কী করে? প্রশ্ন উঠছে এমনই।
পাশাপাশি কৃষকদের মন জয় করতে ঝাঁপাচ্ছে কংগ্রেসও। বুধবার উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কংগ্রেসের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরলে ১০ দিনের মধ্যে কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেবে সরকার। প্রিয়াঙ্কার প্রতিশ্রুতি ক্ষমতায় ফিরলে কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশে ২০ লক্ষ সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করবে। এর মধ্যে ১২ লক্ষ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। এবং ৮ লক্ষ নতুন চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।