নির্বাচনের আগে গোয়ায় বা়ড়ছে তৃণমূল ও এমজিপির সহাবস্থান৷ তৃণমূল এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমান্তক পার্টি আসন্ন গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তাদের সাধারণ ইস্তাহার প্রকাশ করেছে৷ ক্ষমতায় এলে উপকূলীয় রাজ্যে চাকরি ও স্থানীয় সংস্থাগুলিতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি তো দিয়েছিল আগেই৷ এবার খনির কাজ পুনরায় শুরু করাকে পাখির চোখ করল দুই দল৷ খনি, যা গোয়ার রাজস্বের অন্যতম উৎস ছিল,তা ২০১৮-র পর স্থবির হয়ে পড়ে।
১৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে নির্বাচন৷ এর আগে সর্বভারতীয় তৃণমূল এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্ত্রক পার্টি দ্বারা প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের প্রথম লক্ষ খনি৷ উত্তোলন চুক্তি এবং খনির চাকরিতে মহিলাদেরও অনুশীলন করানো হবে৷
গোয়ায় বেআইনি খনি সমস্যা দীর্ঘদিনের৷ অভিযোগ, বিজেপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ পুনরুদ্ধার করা যায়নি৷ তাই সে দিকেই নজর দিয়েছিল তৃণমূল৷ খনি লুট আটকাতে কাজ করা হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছিল তারা৷
পাশাপাশি ক্ষমতায় এলে গোয়ায় মহিলাদের জন্য প্রায় অর্ধেক সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল৷ অভিযোগ, বিজেপির নেতৃ্ত্বাধীন সরকারে গোয়া অপরাধের পীঠস্থান হয়ে উঠেছে৷ যাকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে পারে তৃণমূলই৷
অন্যদিকে এমজিপির তরফে জানানো হয়েছে ক্ষমতায় এলে গৃহলক্ষ্মী স্কিম লাগু৷ প্রতি মহিলাকে মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতোই। উল্লেখ করা হয়েছে ইস্তেহারে। ১০ দফা মূল প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে গণপরিবহণের সংখ্যা বৃদ্ধি, বিদ্যুতের সুসমবন্টন, নিকাশি ও পানীয় জল, কৃষি, সেচ ব্যবস্থা, শিল্পের উন্নতি৷আর মাত্র কয়েকদিন৷ তারপরেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট৷ শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে গোয়া বিধানসভা ভোটের ইস্তাহার প্রকাশ করা হয়েছে জোটের তরফে।