কলকাতা ডার্বি জিতে আত্মবিশ্বাসে ফুটছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচ আটকে গেল জুয়ান ফেরান্দোর দল। ম্যাচ শেষ হল ১-১ অমীমাংসিত অবস্থায়। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এ বারও জেতা হল না সবুজ-মেরুনের। বৃহস্পতিবার প্রথমার্ধের শুরুতেই ম্যাচে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। পুরোপুরি রক্ষণের ভুলে গোল হজম করে মুম্বই সিটি এফসি। বাঁ দিক থেকে দৌড়নো লিস্টন কোলাসোকে আটকে দিয়েছিলেন মুম্বইয়ের ডিফেন্ডাররা। কিন্তু আহমেদ জাহুর পা থেকে অনায়াসে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে থাকা উইলিয়ামসকে বাড়ান হুগো বুমোস। অনায়াসে মহম্মদ নওয়াজকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে দেন উইলিয়ামস। এরপর যদিও ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় লাগেনি মুম্বইয়ের। সাম্প্রতিক কালে খুব একটা ছন্দে দেখা যায়নি তাদের। কিন্তু এদিন যেন পুরনো সেই ছন্দে দেখা গেল তাদের। গোল খেয়েই একের পর এক আক্রমণের ঝড় আছড়ে পড়তে লাগল এটিকে মোহনবাগানের বক্সে। তার সুফলও পেল তারা। ২৪ মিনিটের মাথায় চাপের মুখে আত্মঘাতী গোল করে বসেন সবুজ-মেরুন অধিনায়ক প্রীতম কোটাল।
যতই ম্যাচ এগোতে থাকে, চাপ আরও বাড়াতে থাকেন মুম্বই। কিন্তু সঠিক গোলস্কোরার না থাকায় ফিনিশিং হচ্ছিল না। প্রথম একাদশে ছিলেন না ইগর আঙ্গুলো। দিয়েগো মৌরিসিয়ো থাকলেও তিনি যে ফিট নন, সেটা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল। পাশাপাশি, দুই উইং দিয়ে যে আক্রমণ হওয়ার কথা, সেটাও মুম্বইয়ের খেলায় দেখা যাচ্ছিল না। তবে বেশ কিছু সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল তারা। ব্যবধান অনায়াসে বাড়তে পারত। তবে তা হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও মুম্বইয়ের আক্রমণের গতি কমেনি। কিন্তু মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো কেন উইলিয়ামসকে তুলে জনি কাউকো নামালেন, সেটা কেউ বোঝেননি। উইলিয়ামসকে তবু ছন্দে লাগছিল। কিন্তু কাউকো এসে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি। হাতে রয় কৃষ্ণের মতো স্ট্রাইকার ছিল না। কিয়ান নাসিরিকেও নামাননি কোচ।
