গত আট বছর ধরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেছেন তিনি। ফের সেই দলেই ফিরতে চাইছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। তবে তিনি জানেন নিলামে যে কোনও দলই কিনে নিতে পারে তাঁকে। বেশ কয়েক বছর নিলাম নিয়ে ভাবতেই হয়নি চাহালকে। এ বার তাঁকে রাখেনি আরসিবি। তাই নিলামে উঠবেন তিনি। চাহালের ন্যূনতম দাম দুই কোটি টাকা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বিরাটকে আমি অনূর্ধ্ব ১৫ থেকে চিনি। উত্তরাঞ্চলের হয়েও আমরা এক বছর খেলেছি। ২০১৪ সালে যখন আরসিবি-তে আসি, তখন আমি মাঠেও খুব চাপে ছিলাম।” সেই সময় বিরাট তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। চাহাল বলেন, “বিরাট কভারে থাকত, খুব আক্রমণাত্মক ছিল ও। আমি বয়সে ছোট ছিলাম, ভুল করলে ও খুব রেগে যেত। সেই জন্য ২০১৪ সালে যখনই উইকেট পেতাম, ব্যাটারের দিকে দৌড়ে যেতাম।” দু-তিন বার এমন ঘটে। কোচ ড্যানিয়াল ভেত্তোরিকে ম্যাচ রেফারি জানান। তিনি চাহালকে বলেন, “তোমার মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু এই একটা জিনিস পাল্টাতে হবে। তুমি যদি উইকেট নিয়ে দৌড়াতে চাও, তা হলে কভার্সের দিকে যাও। ও দিকে বিরাট থাকবে, ওকে যা খুশি বল, বিরাট কিছু মনে করবে না।”
পাশাপাশি, চাহাল জানিয়েছেন বিরাটের থেকে যে ভাবে সাহায্য পেয়েছেন তিনি, তা অন্য কারও থেকে পাননি। বিরাট তাঁকে নিজের মতো বল করতে দিয়েছেন। রান দিয়ে ফেললেও পাশে থেকেছেন। এ বছর যদিও আরসিবিকে নেতৃত্ব দেবেন না বিরাট, তবু এই দলেই খেলতে চাইছেন চহাল। তিনি বলেন, “আরসিবি-তে আট বছরের সময়টা ছিল মনে রাখার মতো। গত বারের মতো এ বার আমাকে রেখে দেয়নি ওরা, তাই যে দল বেশি টাকা দেবে তার হয়েই খেলব। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবেই সেটাই উচিত।”;মুম্বই ইন্ডিয়ান্স থেকে আরসিবিতে আসেন চহাল। ১১৩টি ম্যাচে লাল জার্সিধারীদের হয়ে ১৩৮টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। আরসিবিতে ফিরতে চাইলেও যে দল তাঁকে নেবে তাদের হয়েই ১০০ শতাংশ দিতে তৈরি চাহাল। তিনি বলেন, “অবশ্যই আরসিবির হয়ে খেলতে চাই। তবে অন্য কোনও দলে গেলেও আমার খারাপ লাগবে না। সবাইকেই নতুন দল তৈরি করতে হবে। যে দলই নিক, আমার কোনও অসুবিধা নেই। নিজের ১০০ শতাংশই দেব আমি। তবে নতুন দলে গেলে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে।” ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া পিছনে আইপিএলের ভূমিকাকেই গুরুত্ব দিয়েছেন চহাল। আরসিবির হয়ে তাঁর সাফল্যই ভারতীয় দলে জায়গা করে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ২০১৮ সালে নিলামে তাঁকে আরটিএম (রাইট টু ম্যাচ) কার্ড ব্যবহার করে রেখে দেয় আরসিবি। ভীষণ খুশি হয়েছিলেন চাহাল। এ বার যদিও নেই আরটিএম কার্ড।
