এবার জলপাইগুড়ির গজলডোবায় কেরল ও গোয়ার আঙ্গিকেই তৈরি হচ্ছে মেডিক্যাল ট্যুরিজম। আগামী এক বছরের মধ্যে এই অত্যাধুনিক স্বাস্থ্য পর্যটন পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর। গজলডোবায় ‘ওয়েলনেস সেন্টার’-এর মাধ্যমে মেডিক্যাল এবং হেলথ ট্যুরিজমের পরিষেবাকে চালু করতে চায় রাজ্য। গজলডোবা পর্যটন হাবের নতুন ফাকা ২ একর জমিতে গড়ে উঠবে এই সেন্টারটি। পরিকাঠামো তৈরিতে খরচ ধরা হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। এই কেন্দ্র গড়ে তুলতে পর্যটন দফতর বিশেষজ্ঞ আর্কিটেক্ট নিয়োগ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। মেডিক্যাল ট্যুরিজম পরিষেবায় দেওয়া হবে সাইকোলজিক্যাল থেরাপি, কাউসেলিং। মানসিক অবসাদ, একঘেয়েমিকে কাবু করার পরামর্শ মিলবে ওয়েলনেস সেন্টারে। থাকছে অত্যাধুনিক পরিষেবার মধ্যে হাইপারটেনশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাউন্সেলিং। হলিস্টিক মেডিসিনে আপনার শরীর ও মনকে সুস্থ রাখার পরিষেবা দেওয়া হবে। আবেগ থেকে মস্তিষ্কের বিশ্রামের পদ্ধতিও শেখানো হবে।
পাশাপাশি, হাল্কা জিম করার ব্যবস্থাও থাকছে। থাকবে বডি ম্যাসাজ থেকে স্পা’-এর বন্দোবস্তও। ফেসিয়াল ও স্কিনের বিভিন্ন ধরনের ন্যাচারাল চিকিৎসা। ওয়েলনেস সেন্টারের ভেতরের সার্বিক পরিবেশকেও প্রাকৃতিকভাবে সাজিয়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। থাকবে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ মিশ্রিত মিনারেল ওয়াটারের ব্যবস্থাও। এই ধরনের পরিষেবা উত্তর বঙ্গের পর্যটন ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কেরল, তামিলনাড়ু, গোয়াতে এই ধরনের ওয়েলনেস কেন্দ্রে যারা যান, তাদের অনেক খরচ করতে হয়। কিছু কিছু পরিষেবা নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তের খরচের নাগালের মধ্যে রাখা হলে ভিড় বাড়বে বলে মনে করেন পর্যটন ব্যবসায়ী সব্যসাচী রায়। পর্যটন দফতরের উত্তরবঙ্গের যুগ্ম অধিকর্তা জ্যোতি ঘোষ বলেছেন, “গজলডোবায় নতুন যে কটেজগুলি চালু করা হয়েছে, তার পাশেই ২ একর ফাঁকা জমিতে এই ওয়েলনেস সেন্টার গড়ে তোলা হবে৷ পরিকাঠামো তৈরির জন্য আড়াই কোটি টাকা খরচ করা হবে।”
