যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই রাজনীতির পারদ চড়ছে। দেশের বৃহত্তম রাজ্য়ে উত্তর প্রদেশ সহ আরও চারটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মাসেই সেই নির্বাচন হবে। তার আগে রাজনৈতিক আক্রমণ লেগেই রয়েছে। বদলাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই আবহে শিব সেনা বিধায়ক সঞ্জয় রাউত রবিবার অভিযোগ আনলেন উত্তর প্রদেশের নির্বাচন ঘিরে। তিনি আজ অভিযোগ করেছেন, আসন্ন উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের জন্য় তাঁর দলের ৬-৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন ‘বেআইনিভাবে’ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
সর্বভারতীয় একটি চ্যানেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সঞ্জয় রাউত বলেছেন, তিনি এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবেন এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দেবেন। রাউত অভিযোগ করেছেন যে, নয়ডা, বিজনোর এবং মীরাটের ৬ থেকে ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রে সেনা প্রার্থীর মনোয়ন বাতিল করা হয়েছে। এই তিন জেলার সংশ্লিষ্ট জেলা শাসকরা তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাঁরা ‘চাপের মধ্যে পড়ে’ তাঁরা শিব সেনার প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করেছেন যাতে উত্তর প্রদেশে শিব সেনা খাতা খুলতে না পারে।
তিনি বলেছেন, ‘নথিপত্রগুলি নিখুঁত ছিল এবং কাগজপত্রগুলি সময়মতো দাখিল করা হয়েছিল। আমাদের বিজনোর প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করার কারণটি গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের মনোনয়ন পত্র নিয়ে করা আমাদের (গোয়া) প্রার্থী দ্বারা উত্থাপিত আপত্তির মতোই (ভোটমুখী উপকূলীয় রাজ্য)। কিন্তু সেখানে কর্তৃপক্ষ সাওয়ান্তের কথা শুনেছিল এবং সমস্যাটির নিষ্পত্তি হয়েছিল (সাওয়ান্তের পক্ষে)। কিন্তু উত্তর প্রদেশে আমাদের প্রার্থীদের এই মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি’। তিনি দাবি করেছেন, সেনার কোনও কোনও প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের নির্বাচন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতেও বলা হয়েছে। নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, কেউ কেউ ভয় পেয়ে গিয়েছে যে সেনার প্রার্থীরা হয়ত জিতে যেতে পারে বা বিপরীত দলের প্রার্থীদের হারিয়ে দিতে পারে।
শিব সেনার প্রধান মুখপাত্র বলেছেন, ‘এটা গণতন্ত্র নয়। অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া উচিত’। উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশে ৪০৩ টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন হবে। আগামী দুই মাস ধরে ৭ দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ৩ মার্চ এবং ৭ মার্চ এই সাত দফায় উত্তর প্রদেশের জনগণ ভোটবাক্সে তাঁদের মতামত দেবেন। ১০ মার্চ ভোট গণনার পর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হবে।