ঘরের মাঠে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম ভারতের বিপক্ষে আন্ডারডগ হিসেবে খেলছে অস্ট্রেলিয়া। তবে এ্যাডিলেডের প্রথম ম্যাচটা কিন্তু জমিয়ে তুলেছিল টিম পেইনের দল। নাটকীয়তায় ভরপুর টেস্টের শেষদিনে হারতে হয়েছে মাত্র ৩১ রানে। সিরিজে সুপার বিরাট কোহলির ভারতকে হট-ফেবারিট বলছেন অনেকে। অবশ্য রিকি পন্টিং সেই দলে ছিলেন না। প্রথম টেস্টে হারের পরও নিজের অবস্থানে অনড় প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া পার্থে ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। পার্থের পিচ এ্যাডিলেডের চেয়ে আরও বেশি গতিময় আর বাউন্সি হবে বলে মনে করছেন তিনি। কোহলিদের যেখানে মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজলউডদের খেলতে সমস্যায় পড়তে হবে।
গত ৭০ বছর ধরে বিভিন্ন সময় অস্ট্রেলিয়া সফর করছে ভারত। অ্যাডিলেডের জয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে মাত্র ছয়টি টেস্ট জিতল ভারত। এটি আবার গত ১৮ বছরে অ্যাডিলেডের মাঠে সফরকারী কোনো দলের প্রথম জয়। ভারত যত ভালো দলই হোক, এই হারটি নিয়ে এরই মধ্যে কাটাছেঁড়ায় বসে গেছে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোদ্ধারা। গবেষণা চলছে পার্থের পরের টেস্টে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে অস্ট্রেলিয়া।
ঐতিহাসিকভাবেই ফাস্ট বোলারদের জন্য পার্থের উইকেটকে আদর্শ বলা হয়। কন্ডিশনের কথা ভেবেই হয়তো পার্থে নিজের দেশকে এগিয়ে রাখছেন পন্টিং, ‘আমার মনে হয় পার্থ ভারতীয় খেলোয়াড়দের চেয়ে আমাদের জন্য বেশি উপযুক্ত। কিন্তু অস্ট্রেলীয় দলকে খুব দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলীয় দলের পারফরম্যান্স মোটেও ভালো হয়নি, যদিও হারের ব্যবধানটা অল্প। কিন্তু ভারত কি নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পেরেছে? আমার সন্দেহ আছে। তবে ভারত ভালো দল। তারা জিততে জানে।’
প্রথম টেস্টে হারলেও অস্ট্রেলীয় দলকে এখনই খারাপ বলতে রাজি নন পন্টিং। সে কারণেই পার্থে অ্যাডিলেডের একাদশটি অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে তিনি,‘আমার মনে হয় এটিই অস্ট্রেলিয়ার সেরা একাদশ। পার্থ এটি অপরিবর্তিত রাখার পক্ষেই আমি।’