ইজরায়েলি সংস্থার তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ভারতকে বিক্রি করা হয়েছিল! আর সেই চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীর ইজরায়েল সফরেই সেই ব্যবস্থা পাকা করা হয়েছিল! জনপ্রিয় মার্কিন পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসে অন্তত এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ‘বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাশালী সাইবার অস্ত্রের লড়াই’ শীর্ষক ওই তদন্তমূলক প্রতিবেদনের দাবি ঘিরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে যে কোনও অ্যানড্রয়েড স্মার্ট ফোন বা আইফোন থেকে গোপন তথ্য সহজেই হাতিয়ে নেওয়া যায়।
ভারতে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তের জন্য প্যানেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অভিযোগ, দেশের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের ফোনই এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাক করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে অন্তত একজন বিচারপতি এবং সাংবাদিক রয়েছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা তাদের তদন্তের মাধ্যমে ফোন হ্যাক হওয়ার স্বপক্ষে প্রমাণ জোগাড় করেছে বলেও নানা মহলে দাবি করা হয়েছে।
শুক্রবার ওই মার্কিন পত্রিকার ওয়েবসাইটে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘পেগাসাস স্পাইওয়্যারকে কেউ যাতে দমনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার উপর লাগাতার নজরদারি করেছে ইজরায়েলের সরকার। কিন্তু, তারপরও পোল্যান্ড, হাঙ্গারি এবং ভারতকে এই স্পাইওয়্যার বিক্রি করা হয়’। এই ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠছে। এছাড়াও অন্য একটি প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট মার্কিন পত্রিকার তরফে বলা হয়েছে, ‘ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একের পর এক বিক্রয় চুক্তির লাইসেন্স মঞ্জুর করে গিয়েছে। আর তার মাধ্যমেই পোল্যান্ড, হাঙ্গারি ও ভারত-সহ একাধিক দেশের চরম ডানপন্থী নেতাদের কাছে পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিক্রি করা হয়েছে’। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এই দাবি নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোদী সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।