উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন শুরু হতে আর বেশিদিন বাকি নেই। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য তো বটেই, দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণে এই নির্বাচনের গুরুত্ব কতটা, তা আলাদাভাবে বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই নির্বাচনের আগেই রাজ্যের বড় অংশের আখচাষিদের রোষের মুখে পড়ছেন বিজেপি নেতারা। যা কিনা ভোটের আগে কপালের ভাঁজ বাড়াচ্ছে পদ্ম শিবিরের।
বরাবরই দেখা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ। হাতে এই রাজ্যের শাসনক্ষমতা থাকলে অনেকটাই সহজ হয়ে যায় দিল্লি দখল৷ বিজেপি তো বটেই, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। গত পাঁচ বছর ধরে যোগী শাসন দেখেছে উত্তরপ্রদেশ। কাজেই আগামী নির্বাচন লিটমাস টেস্ট হতে চলেছে যোগী তথা বিজেপির কাছে৷
বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, বিজেপির সবচেয়ে বড় চিন্তার জায়গা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ। সেখানের বিক্ষুব্ধ কৃষকরা খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারেন নিজেদের হাতে। বিশেষত সেখানের আখ চাষিদের মনে যে অসন্তোষ রয়েছে, তা রীতিমতো চিন্তায় রাখছে বিজেপিকে। এবার বোঝা গেল, চিন্তার যথেষ্ট কারণও আছে। উত্তরপ্রদেশের আখ মন্ত্রী সুরেশ রানাকে কালো পতাকা দেখালেন জনগণ৷
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১১৩ টি চিনি উৎপাদনকারী সংস্থা মোট ৪৬৫.৩ লক্ষ টন আখ কিনেছে চাষিদের কাছ থেকে। গত বছরের নভেম্বর থেকে এই বিপুল পরিমাণ শস্য কিনেছে তারা। কিন্তু এই শস্যের দাম বাবদ মাত্র ৯১৫৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। যা কিনা চাষীদের প্রাপ্য দামের মাত্র ৬৯.৯ শতাংশ৷ সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও কৃষকের কাছ থেকে শস্য কিনলে তার ১৪ দিনের মধ্যে প্রাপ্য দাম দিতে হয় ক্রেতা সংস্থাকে। স্পষ্টতই যে নির্দেশ কিনা মানা হচ্ছে না এক্ষেত্রে৷ শুধু তাই নয়, গত মরশুমের মোট ১৫০০ কোটি টাকাও বাকি পড়ে রয়েছে কৃষকদের।