সারা বিশ্বের সামনে ফের মাথা হেঁট হল মোদী সরকারের। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার অন্যতম ডিমানিটাইজেশন। অন্তত এমনটাই বলে থাকে গেরুয়াশিবির। তথাপি সদ্য প্রকাশিত বিশ্ব দু্র্নীতি সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান হল ৮৫তে। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়ল মোদী সরকারের। মঙ্গলবার প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, দুর্নীতিমুক্ত দেশগুলির ধারেকাছে নেই ভারত। এদিন অর্থনৈতিক স্বচ্ছতার নিরিখে ২০২১ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে টিআই। এই তালিকায় গত বছর ভারতের স্থান ছিল ৮৬। এবার স্থান হয়েছে ৮৫ তে।
প্রসঙ্গত, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বার্ষিক সূচক তৈরি করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেশগুলির কাজের ভিত্তিতে নম্বর দেন তারা। সবথেকে বেশি দুর্নীতিগ্রস্তের কপালে জোটে শূন্য। অন্য দিকে সবথেকে বেশি দুর্নীতিমুক্ত দেশকে দেওয়া হয় ১০০ নম্বর। এই হিসেবে ভারত পেয়েছে এবার ৪০ নম্বর। অন্যদিকে চিনের প্রাপ্ত নম্বর ৪৫। বাংলাদেশ পেয়েছে ২৬। টিআই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই ভারতের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। অন্যদিকে ভারতের পড়শি দেশগুলির অবস্থাও ভাল নয়। তবে এক্ষেত্রে ভুটান ব্যতিক্রম। অন্যদিকে পাকিস্তান আরও ১৬ ধাপ পিছিয়েছে। বিশ্ব দুর্নীতির সূচকে তাদের স্থান হয়েছে ১৪০-এ। পাকিস্তানের প্রাপ্ত নম্বর ২৮।
পাশাপাশি এই রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতের গণতান্ত্রিক মর্যাদা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। যেহেতু নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য ক্রমশ নষ্ট হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুলিশ, রাজনৈতিক দলগুলির মদতপুষ্ট গুণ্ডা ও দুষ্কৃতী ও দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মীদের আগ্রাসনে দেশের সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এদের মানহানি, রাষ্ট্রদ্রোহ, হিংসাত্মক বক্তব্য, আদালত অবমাননার অভিযোগে ও বিদেশি তহবিল সংক্রান্ত মামলায় জড়ানো হচ্ছে। দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ে। এমনই জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।