এবার সরকারি হাসপাতালের শিক্ষক চিকিৎসকদের উদ্দেশে কড়া সতর্কবার্তা দিল রাজ্য সরকার। পদত্যাগের নামে ছেলেখেলা চলবে না। এমনই জানাল নবান্ন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসক (ফ্যাকাল্টি) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বা অধিকর্তার কাছে পদত্যাগ পাঠিয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করেন অনেক শিক্ষক। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের ফলে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজের সমস্যা হয়। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, ফলে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের সমস্যা হয়। আবার রোগী পরিষেবাও বিঘ্নিত হয়। এমন সমস্যার রাশ টানতেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে স্বাস্থ্যভবনকে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক পাতার এমন পদত্যাগপত্র পাঠানো হলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বা শিক্ষক চিকিৎসককে শোকজ করা হবে। সরকারের সার্ভিস রুলের ১৫৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে পদত্যাগ পত্রের নিয়মাবলী।
প্রসঙ্গত, একদিকে যেমন জেলা হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়োগ হচ্ছে, তেমনই ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষক চিকিৎসক মেডিক্যাল কলেজ থেকে পদত্যাগ করছেন। এই প্রেক্ষিতে ১৫ দফা নিয়ম ঠিক করে দেওয়া হয়েছে যেগুলি পদত্যাগের সঙ্গে উল্লেখ করতে হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পদত্যাগপত্রের সঙ্গে জানাতে হবে ওই শিক্ষক চিকিৎসক সরকারের থেকে কোনও ঋণ নিয়েছিলেন কি না। নিয়ে থাকলে ঋণের পরিমাণ। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনও মামলা বা আইনি জটিলতা অথবা তদন্ত মূলক ব্যবস্থা রয়েছে কি না। স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ এবং সেগুলির ফটোকপি। মেডিক্যাল সার্ভিসে কতদিন যোগ দিয়েছেন। একইসঙ্গে পদত্যাগ পত্রের সঙ্গে বাড়ির ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিতে হবে। পদত্যাগের পর ওই শিক্ষক চিকিৎসক সংস্থা যদি এসে থাকেন তাও জানাতে হবে। এর সঙ্গেই মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অথবা অধিকর্তার কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পদত্যাগ পত্র গ্রহণের সময় দেখে নিতে হবে লিভ স্টেটমেন্ট এবং জানাতে হবে ওই ফ্যাকাল্টি সম্পর্কে তাঁর অভিমত। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, বেশ কিছু পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়নি। এইসব কারণেই প্রকাশ করা হল এই বিজ্ঞপ্তি।
