মঙ্গলবার দিল্লী থেকে এসেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ফোন। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ওই ফোনে হিন্দিতে তাঁকে জানালো হয়, তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হবে। তিনি কি এই সম্মান নেবেন? সন্ধ্যার কণ্ঠে ধরা পড়ল হতাশা আর অপমানের বেদনা। দিল্লীর কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট সচিবালয়ের উদ্দেশে তিনি হিন্দিতেই তাঁর বক্তব্য জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, “আমি বলে দিয়েছি, আমার পদ্মশ্রীর কোনও দরকার নেই। শ্রোতারাই আমার সব।” আচমকা এই পদ্মশ্রী খেতাবের ফোনে তিনি যে অপমানিত বোধ করেছেন, তাঁর কণ্ঠেই তা ধরা পড়ে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে আধুনিক বাংলা গানে তাঁর সুরের বিস্তার আর যাই হোক পদ্মশ্রীর আশা যে করে না তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন এই নিরহঙ্কারী শিল্পী।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এ ভাবে কেউ পদ্মশ্রী দেয়? এরা জানে না আমি কে! নব্বই বছরে আমায় শেষে পদ্মশ্রী নিতে হবে? আর এই ফোন করে বললেই চলে যাব আমি? শিল্পীদের কোনও সম্মান নেই আর।” ১৯৭১ সালে ‘জয় জয়ন্তী’ এবং ‘নিশিপদ্ম’ ছবিতে গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন সন্ধ্যা। এ ছাড়া ২০১১ সালে তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে সম্মানিত করে রাজ্য সরকার।