গতকাল রাজ্য বিজেপি জয়প্রকাশ ও রীতেশ তিওয়ারিকে সাময়িক সাসপেন্ড করেছিল।তারপর মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটান দুই নেতা। জয়প্রকাশ এদিন বলেন, ‘আগে স্লোগান দিয়েছিল ইস বার, দোশো পার। তারপর ২ মে দুপুর ১২টা বাজতেই হেস্টিংস পার্টি অফিস থেকে গাড়ির ভিড় কমতে শুরু হল। বাইরের নেতারা দিল্লির প্লেনের টিকিট কাটতে ব্যস্ত। কে কত আগে কলকাতা ছেড়ে পালাতে পারে তার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। বিকেলের মধ্যে সব ফাঁকা!”
জয়প্রকাশ আরও বলেন, ২০০-র স্বপ্ন দেখানো দল যখন সাতের ঘরে থেমে গেল, তখন এই জয়প্রকাশ মজুমদারকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে কথা বলতে হয়েছিল। রাজ্য বিজেপির আর কোনও নেতাকে দেখা যায়নি। তিনি এও বলেন, যেদিন মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিল, সেদিনও বিজেপির পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নবাণ সামলাতে তাঁকেই হাজির হতে হয়েছিল। আর কেউ ছিলেন না।
দিলীপ ঘোষ যখন বাংলা বিজেপির সভাপতি তখন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) ছিলেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। দিল্লির নেতা বলেছিলেন, এঁদের সরিয়ে দিতে হবে। পরে দেখা গিয়েছিল সুব্রতবাবুকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের মনোভাব সম্পর্কে বলতে গিয়ে জয়প্রকাশ বলেন, তাঁরা ভেবেছিলেন বাংলার নেতাদের দরকার নেই। এখানকার নেতাদের বাদ দিয়েই তাঁরা বাংলায় সরকার গড়ে ফেলতে পারবেন। কিন্তু কী হয়েছে সবাই দেখেছেন।
বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কোনও আন্দোলন হয়নি। আমরা আদালতে গিয়েছি অনেকবার। কিন্তু যে কর্মীরা মার খেয়েছে, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো, সেই জেলায় যাওয়া, সেই মণ্ডলে যাওয়া – তার থেকে সবাই বলেছে হাইকোর্টে গিয়ে সেটা কাগজে বেরোলে বেশি সাহায্য হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করছিলেন, তখন তিনি হাইকোর্টের উপর নির্ভর করে লড়াই করেননি। তিনি মাঠে ময়দানে রাস্তায় নেমে লড়াই করেছিলেন। কারণ, সেটাই বাংলার রাজনীতি। কিন্তু অদ্ভুতভাবে ২০২১-এর নির্বাচনের পরবর্তী ক্ষেত্রে – নির্বাচনের ফলাফলের কোনও পর্যালোচনা হল না। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে কেউ কথা তুলতে গেলে তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাইক অফ করে দিতে বলা হয়েছে’।