ভোট যত এগিয়ে আসছে উত্তরাখণ্ডে তত চাপ বাড়ছে বিজেপির। সূত্রের খবর বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা হরকা সিং রাওয়াত যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেসে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পুষ্কর সিং ধামি তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। পরে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। তিনি এবার নাকি যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেসে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য উত্তরাখণ্ডে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে কংগ্রেস। হরকা সিং রাওয়াতের এই যোগদানে কংগ্রেসের হাত আরও শক্ত হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সূত্রর খবর শুধু হরক সিং একা নন। তাঁর সঙ্গে আরও দুই বিজেপি বিধায়কও যোগ দেবেন কংগ্রেসে। ২০২২-র বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই তাঁর বিরোধিতা শুরু হয় বিজেপির। বিশেষ করে পুস্প সিং রাওয়াতের সঙ্গে গন্ডগোল তৈরি হয়েছিল। তারপরেই ফের কংগ্রেসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
পুস্প সিং ধামি মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ইস্তক হরক সিংয়ের সঙ্গে বিরোধিতা শুরু হয়। সেই বিরোধ এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে হরক সিংকে সরানোর জন্য রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপরেই বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল হরক সিংয়ের। কারণ বিধানসভা ভোটের কথা ঘোষণা হতেই কয়েকজন কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখা করতে শুরু করেছিলেন তিনি। অবশেষে যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেসে।
উত্তরাখণ্ডে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই বিজেপি। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ৭০টি আসনের মধ্যে পেয়েছিল ৫৭টি আসন। কিন্তু দলে বিদ্রোহ প্রতিনিয়ত বাড়তে শুরু করে। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই পর পর তিনবার মুখ্যমন্ত্রী পদে বদল ঘটানো হয়। তাতেই বোঝা যাচ্ছিল দ্বন্দ্ব বেড়েছে। সেই সুযোগে কংগ্রেস শক্তি বাড়াতে শুরু করে। লোকসভা উপনির্বাচনেই বোঝা গিয়েছে কংগ্রেস কতটা শক্তি বাড়িয়েছে। উল্টে চাপ বেড়েছে বিজেপির। এবিপি সি ভোটার সমীক্ষা বলছে উত্তরাখণ্ডে ফের সরকার গড়তে পারে কংগ্রেস।