সােমবার দুপুর নাগাদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত প্যাটেলের ইস্তফা, মঙ্গলবার পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফল কী হবে তার আশঙ্কা, ওপেকের তেল উৎপাদন কমানাের সিদ্ধান্ত, এই তিন কারণেই আজ মুখ থুবড়ে পড়ল শেয়ার বাজার। দিনের শুরুতেই এদিন ধস নামে সেনসেক্সে৷ এক ধাক্কায় ৫০০ পয়েন্ট নামল সূচক৷ রেকর্ড পতন টাকার দামেও৷ ১ টাকা ১০ পয়সা হারে কমল টাকার দাম৷
ব্যক্তিগত কারণে সোমবারই ইস্তফাপত্র জমা দেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর উর্জিত প্যাটেল৷ চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিল থেকে পদত্যাগ করেন অর্থনীতিবিদ সুরজিৎ ভাল্লার৷ তার উপর আবার আজ মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মিজোরামের নির্বাচনের ফল প্রকাশ৷ প্রাথমিক ট্রেন্ডে বেশ চাপে বিজেপি৷ সব মিলিয়ে শেয়ার বাজারে ধস নামার একটা আশঙ্কা আগেই করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। আশঙ্কাটা যে অমূলক ছিল না তা মঙ্গলবার বাজার খুলতেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে বাজার খোলার সময় সেনসেক্স সূচক ছিল ৩৪৫৮৪.১৩ পয়েন্টে। নিফটি খুলেছিল ১০৩৫০.০৫ পয়েন্টে। এরপর গণনার প্রাথমিক ছবি সামনে আসতেই পড়তে থাকে শেয়ার সূচক। ৫০১.৬৬ পয়েন্ট বা ১.৪৩ শতাংশ পড়ে সকালে সেনসেক্স সূচক দাঁড়ায় ৩৪৪৫৮.০৬ পয়েন্টে। নিফটির সূচক ১৩১.৬০ পয়েন্ট বা ১.২৫ শতাংশ পড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১০৩৫৬.৮৫ পয়েন্টে।
উল্লেখ্য, এদিন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি, আদানি পাের্টস, পাওয়ারগ্রিড, কোল ইন্ডিয়া, এশিয়ান পেইন্টস, কোটাক ব্যাঙ্ক, ওএনজিসি, বেদান্ত, ইয়েস ব্যাঙ্ক, ভারতী এয়ারটেল, হিরাে মােটোকর্প এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ার দর পড়ে প্রায় ৪ শতাংশ। এ দিন প্রায় ৯০০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করছেন বিদেশি বিনিয়ােগকারীরা।
তিন রাজ্যের ট্রেন্ডের নিরিখে সমীক্ষায় এবার হাওয়া বিজেপির বিরুদ্ধেই যাচ্ছে৷ শেয়ার বাজারে ইতিমধ্যেই সেই প্রভাব পড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ অন্যদিকে, জানুয়ারি থেকেই ওপেক তেল উৎপাদনে রাশ টানা শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তি চাহিদার সঙ্গে জোগান যথেষ্ট না হওয়ায় অশোধিত তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এছাড়া টাকার দামের পতনকেও শেয়ার বাজারে ধসের অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।