ক্রমশ এগিয়ে আসছে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট। চড়ছে পারদ। আর তার সাথে সাথেই ফাটল বাড়ছে পদ্মশিবিরের। একের পর এক মন্ত্রীদের পদত্যাগ হাসি ফোটাচ্ছে সমাজবাদী পার্টির মুখে৷ তার মূল কারণ, বিজেপি ত্যাগী বিধায়ক-মন্ত্রীদের সাইকেলে সওয়ার হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এককথায়, নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশে জমে গিয়েছে ভোটের খেলা৷ বৃহস্পতিবার টুইট করে তাই অখিলেশ যাদবও লেখেন, ‘খেলা হবে’। যা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য, বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে ‘খেলা হবে’ এখন ভিন রাজ্যে বিজেপি বিরোধী স্লোগানে পর্যবসিত হয়েছে৷ একুশের ভোটে নীল বাড়ি দখলের লড়াইয়ে তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে৷ বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের কাছে বিজেপির বিপর্যয় বিরোধী দলগুলির কাছে ‘খেলা হবে’-র গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে তোলে৷ তখন অখিলেশ যাদবও ‘খেলা হবে’-র অনুকরণে ‘খেলা হই’, ‘খদেড়া হইবে’ গান সামনে আনেন৷ লক্ষ্য একটাই৷ যোগী সরকারকে হটানো৷
বৃহস্পতিবার যোগী মন্ত্রিসভা থেকে আয়ুষ মন্ত্রী ধরম সিং সাইনির পদত্যাগের পর টুইট করেন অখিলেশ৷ বিজেপি নেতার সঙ্গে নিজের একটি ছবি টুইট করে অখিলেশ লেখেন, ‘ধরম সিং সাইনিজির মতো যোদ্ধার আগমনে আমাদের ইতিবাচক এবং উন্নয়নশীল রাজনীতি আরও উৎসাহ এবং বল পাবে৷ সমাজবাদী পার্টিতে তাঁকে স্বাগত এবং অভিনন্দন৷ ২০২২-এ সৌহার্দ্যের জয় নিশ্চিত৷ খেলা হবে৷
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার যোগী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য৷ তিনি বলেছিলেন, আরও ‘উইকেট’ পড়বে৷ তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসেন দারা সিং চৌহান। আর দারার পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যোগীর মন্ত্রিসভা ত্যাগ করলেন ধরম সিং সাইনি। এর আগে এদিন সকালে বিজেপি ছাড়েন দলিত বিধায়ক মুকেশ বর্মা। তিনি বলেন, “স্বামী প্রসাদ মৌর্য আমাদের নেতা। তিনি যে সিদ্ধান্তই নেবেন, আমরা সমর্থন করব। আগামী দিনে আরও অনেক নেতা আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন।”
প্রসঙ্গত, নির্বাচন ঘোষণা হতেই উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে দল ছাড়ার হিড়িক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৩ জন নেতা মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ এবং ৫ জন বিধায়ক দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন৷ মনে করা হচ্ছে, সকলেই যোগ দিতে চলেছে সমাজবাদী পার্টিতে৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে বড় পরীক্ষা। এমতাবস্থায় যোগী মন্ত্রিসভার তিন সদস্য এবং ৫ বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করায়, স্বাভাবিক তা রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলেছে।