সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে একটি নজরদারি কমিটি গঠন করে। এই কমিটিতে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে তাঁকে বাদ দেয় আদালত। এরপর দ্বিতীয় নজরদারি কমিটি গঠিত হয়। এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছিলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। এই বাদ পড়া নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যার জবাবে তাঁকে রীতিমতো তুলোধনা করলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবার বিরোধী দলনেতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “প্রথমত শুভেন্দু অধিকারী ব্যক্তি নন, বিরোধী দলনেতা। কালকে রাজ্য সরকারের আপত্তি জানায়। পিটিশনগুলি সব রাজ্য সরকার করিয়েছে। বলে কোনও লাভ নেই, সবাইকে সবাই চেনে। রাজ্য সরকার বিজেপিকে ভয় পায়। বিরোধী দলনেতাকে ভয় পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একমাত্র অ্যাজেন্ডা হল বিরোধী দলনেতাকে আটকাও। আমি পদের জন্য লালায়িত নই।”
এই মন্তব্যের পরই শুভেন্দুকে পাল্টা কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “কেউ কাউকে ভয় পায় না। রাজ্য সরকার ওরকম একজন তুচ্ছ মানুষকে ভয় পাবে কেন? রাজ্য সরকার শুধু একা নয়, সমস্ত রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে প্রস্তাব গিয়েছিল। কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে কেন কমিটিতে রাখা হবে। সে তো সরকারের বদনাম করার জন্য, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য বিভেদের রাজনীতি করবে। নিরপেক্ষতার প্রশ্নেই হাইকোর্টে সওয়াল করা হয়েছে।” গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে এই শাসক-বিরোধী চাপানউতোরে তপ্ত হয়ে উঠেছে বাতাবরণ। যদিও গঙ্গাসাগর মেলা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই করতে হবে বলে আজ বাবুঘাটে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, “কোভিড জয় করেছি, এবার ওমিক্রনও রুখে দেব।”
