দিলীপ ঘোষই বিদ্রোহে উস্কানি দিচ্ছেন, মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই নালিশ ঠুকেছিলেন বঙ্গ বিজেপির সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যেন পাল্টা কটাক্ষ এল। তবে দিলীপ ঘোষ নয়, তাঁর ব্যক্তিগত সচিবের কাছ থেকে। নিজের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে দিলীপের ব্যক্তিগত সচিব দেব সাহা লিখেছেন, ‘সনাতনী হিন্দু ব্যাপারটা কী? কেউ বোঝাবে’?
এই পোস্ট থেকেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। উল্লিখিত ওই বিশেষ শব্দবন্ধ কার্যত ব্যবহার করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই অধিকারী পুত্রের মুখে এই বিশেষ শব্দবন্ধ প্রাধান্য পেতে শুরু করে। বিভিন্ন জনসভা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও বিরোধী দলনেতা নিজেকে ‘সনাতনী হিন্দু’ বলে অ্যাখ্যায়িত করতে শুরু করেন। তাই ‘সনাতনী হিন্দু ব্যাপারটা কী’ প্রশ্ন তুলে দিলীপ শিবির যে শুভেন্দুর দিকেই কটাক্ষ ছুঁড়েছেন সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
ঠিক কী লিখেছেন দেব? তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘কেউ একটু বোঝাবে, সনাতনী হিন্দুটা কী? লাস্ট ৬ মাস থেকে শুনছি! প্রায় একশো বছর আগে এরকম শোনা যেত।’ আজ স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিন। আর সেদিনই এই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তাহলে কী এবার শুভেন্দুকে নিশানা করা হচ্ছে? হাওড়া জেলা সভাপতি যে কথাগুলি বলে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন, সেই কথাগুলিকেই কী সিলমোহর দেওয়া হচ্ছে? উঠেছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, হিন্দুধর্মে ‘সনাতনী হিন্দু’ মতাদর্শ রয়েছে। যেখানে বেদ–উপনিষদ–গীতার মতো ধর্মগ্রন্থগুলির চর্চা যাঁরা চিরকাল করে আসছেন তাঁরাই সনাতনী হিন্দু নামে পরিচিতি লাভ করেন। সহজভাবে এটাই বলা যায়। কিন্তু তাহলে শুভেন্দুর কথা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে কেন? এখন বিজেপির অন্দরে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে একাধিক গোষ্ঠীতে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে দল। আর এই পোস্টে দিলীপ ঘোষের মদত রয়েছে বলেও বঙ্গ–বিজেপি নেতারা মনে করছেন। যদিও এ নিয়ে শুভেন্দু হোন বা দিলীপ, এখনও কেউই কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।