সম্প্রতি ত্রিপুরায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার স্বাধীন তদন্তের রিট পিটিশন আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য সে রাজ্যের সরকারকে আরও এক সপ্তাহ সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ সোমবার মামলার শুনানিতে আদালত আরও সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে৷ এর আগে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জবাব দাখিল করতে সক্ষম হওয়ার জন্য বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এএস বোপান্নার বেঞ্চের কাছে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। এ দিনের শুনানিতে পিটিশনার তথা আইনজীবী এহতেশাম হাশমির তরফে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আদালতকে জানান, গত ২৯শে নভেম্বর নোটিশ জারি করা হয়েছিল৷ তার উত্তর দাখিল করার জন্য ১৩ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু আজ অবধি, এই ত্রিপুরা রাজ্য সরকার থেকে কোনও উত্তর আসেনি।
এদিন সলিসিটর জেনারেল আদালতে জানান, “আমি এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামায় উত্তর দেব৷ তাতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করব যা আমার সহকর্মীদের অনেক কাজে লাগবে৷ এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে৷” এরপরই আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, “আমি এই অভ্যাসটিকে খুব অদ্ভুত বলে মনে করি৷ কারণ, এক মাসেরও বেশি সময় আগে নোটিশ পেয়েছি৷ তারা আরও এক মাস আগে আরও সময় চেয়েছিল, ৪ সপ্তাহ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্ত তারপরও আরও এক সপ্তাহ সময় চাইছেন৷”
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর মহকুমায় একটি ধর্মীয় স্থান এবং কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। দুটি দোকানে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই অশান্তির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে হাইকোর্ট। ১০ই নভেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হিংসার প্রেক্ষিতে ত্রিপুরার ৫১টি জায়গায় প্রতিবাদ সংগঠিত হয়। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে একাধিক জায়গায় হিংসা শুরু হয়ে যায়। বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর ছাড়াও অনেক সম্পত্তি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই মামলা দায়ের করে আগরতলা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলেছে, হলফনামায় পুলিশি তদন্তের রিপোর্ট, কাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে তাও জানাতে হবে স্পষ্টভাবে।