ফের তৃণমূলের নিশানায় কংগ্রেস। এ বার দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলায় কংগ্রেসকে দ্বিচারী বলে উল্লেখ করা হল। উদাহরণ হিসাবে তুলে আনান হয়েছ চণ্ডীগড়পুর নিগমের ফলকে। লেখা হয়েছে, বিজেপি-র দোসর হয়েছে কংগ্রেস।
চণ্ডীগড় পুরোনিগমের বোর্ড গঠনের দিন ভোটাভুটিতে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। সেই ঘটনার বিস্তারিত আলোচনা আছে মঙ্গলবারের জাগোবাংলার সম্পাদকীয়তে। সেখানে লেখা হয়েছে, চণ্ডীগড়ের পুরনিগমের নির্বাচনে আপ পেয়েছিল ১৪টি আসন, বিজেপি ১২টি, কংগ্রেস ৮-টি, অকালি দল একটি আসন। কিন্তু ‘কোনও এক ক্ষমতাবলে’ ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। কোন ক্ষমতা বলে, সেটা উল্লেখ করেন কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল।
মেয়রের পদে কে বসবে, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয় সোমবার। সেখানে আপের প্রার্থী ছিলেন অঞ্জু কাটিয়াল ও বিজেপির সরবজিৎ কৌর। ভোটাভুটির পর দেখা যায়, দু’দলই ১৪টি করে ভোট পেয়েছে। কী করে পেল! সেই বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, কংগ্রেসের সাতজন ভোট দেননি। তাতেই স্পষ্ট হয়েছে বিজেপি কোন দুটি ভোট পেয়েছে। একটি পেয়েছে অকালি দলের ও একটি কংগ্রেসের। এখানেই বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের যোগ সূত্র খুঁজে পেয়েছে তৃণমূল।
সম্পাদকীয়তে বিজেপির ‘ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতি’ – নিয়েও সরব হয়েছে তৃণমূল। দলীয় মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘আসলে তলে তলে অন্য খেলা চলছিল। বিজেপি তো ঘোড়া কেনাবেচায় ওস্তাদ। গোয়া – কর্ণাটক মডেলে চণ্ডীগড় দখলের লক্ষ্য ছিল। ঘোড়া কেনাবেচাকে বিজেপি কার্যত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। যে কারণে আস্থা ভোটের সময় বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী বিধায়কদের লুকিয়ে রাখতে হয়েছে রিসর্টে কিংবা হোটেলে।’