৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছেই। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর এবং গোয়ার ভোটের জন্য দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জারি হয়েছে একাধিক বিধিনিষেধ। যদিও ওই ৫ রাজ্যই কোভিড টিকাকরণে পিছিয়ে! এমনটাই কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যে পাঁচ রাজ্যে ভোট ঘোষণা হয়েছে, সেখানে কোথাও এখনও অর্ধেক, কোথাও অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যার দু’টি ডোজ টিকাকরণ হয়নি। ২০১১-র জনগণনা এবং ২০২১ এর সম্ভাব্য জনসংখ্যা বিবেচনা করে এই হিসেব করা হয়েছে। সেই হিসেবে দেখা গিয়েছে, ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের মধ্যে টিকাকরণের হারের নিরিখ সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে মণিপুর।
কো উইন-এর তথ্য অনুযায়ী, মণিপুরের মোট ২৩ লক্ষ ৪ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে দু’টি ডোজ দেওয়া হয়েছে মাত্র ১০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ককে৷ অর্থাৎ মণিপুরে ৪২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের দু’টি ডোজ টিকাকরণ হয়েছে। পাঞ্জাবে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা ২ কোটি ৭০ লক্ষ। যদিও দু’টি ডোজই টিকাকরণ হয়েছে মাত্র ৯৯ লক্ষের। ফলে পঞ্জাবে ৪৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগিরকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি তথ্যে। সবচেয়ে বড় এবং রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভোটমুখী রাজ্য উত্তরপ্রদেশে প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ১৪ কোটি ৭৪ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে দু’টি ডোজের টিকা পেয়েছেন ৭ কোটি ৮৫ লক্ষ মানুষ, অর্থাৎ ৫৩.৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত দু’টি ডোজের টিকাকরণ হয়েছে ৬৩.০৭ কোটি নাগরিকের, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ। উল্লেখিত তিন রাজ্যের মোট প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা ১৭ কোটি। তার মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ হয়েছে ৮ কোটি ৯৫ লক্ষ নাগরিকের। প্রায় ২ কোটি নাগরিকের এখনও প্রথম ডোজের টিকাই নেওয়া হয়নি। ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যে মোট সম্ভাব্য প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সংখ্যা ১৮ কোটি। ফলে দু’টি করে ডোজের টিকা দিতে প্রয়োজন ৩৬ কোটি ডোজ। যদিও এখনও পর্যন্ত ব্যবহার হয়েছে ২৬ কোটি ডোজ টিকা। এখনও পর্যন্ত বাকি রয়েছে ১০ কোটি ডোজ টিকা।