নতুন বছরের শুরু থেকেই সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে জম্মু-কাশ্মীর রবিবার রাতভর সন্ত্রাসদমন অভিযান চলল কুলগামে। আর তাতে বড়সড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। রাতভর অপারেশনে আল বদ জঙ্গিগোষ্ঠীর দুই স্থানীয় সদস্যকে নিকেশ করেছে সেনা। খবরটি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক।
শীতের মরশুমে বরফঢাকার পাহাড়ি পথ পেরিয়ে ভারতে ঢোকা পাক সন্ত্রাসবাদীদের স্থায়ী পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম। আর সেই কারণেই নিয়মিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে এসব স্পর্শকাতর এলাকায় কড়া নজরদারি চলে। প্রায়ই অস্ত্র হাতে জঙ্গি মোকাবিলা করতে হয়। সেনার এই সতর্কতাতেই বারবার ব্যর্থ হয় জঙ্গিবাহিনী। রবিবারের ঘটনাও তেমনই।
সেনা ও পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে আল বদর গোষ্ঠীর সক্রিয়তা বাড়ছে। এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে জনা কয়েক সদস্য। গোপন সূত্রের এই খবর পেয়ে রবিবার সন্ধে নাগাদই এলাকায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। পুলিশ ও সেনার সঙ্গে যৌথ অভিযানে নামেন ১ নং রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ানরা। কুলগামের ওই এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চলে। সেনার উপস্থিতি টের পেয়ে গুপ্ত জায়গা থেকে গুলি বর্ষণ করতে থাকে জঙ্গিরা।
পালটা গুলি চালান জওয়ানরাও। রাতভর গুলির লড়াইয়ের জঙ্গিদের কাবু করা সম্ভব হয়। ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। তবে ওই ডেরায় এখনও আরও কেউ লুকিয়ে কি না, তা বুঝতে সকাল পর্যন্ত জারি তল্লাশি অভিযান। নিহতরা সকলেই আল বদর জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য এবং সংগঠনের হয়ে স্থানীয় স্তরে কাজ করত বলে জানা গিয়েছে।
সেনা সূত্রে পাওয়া এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, নতুন বছরের এই ৯ দিনের মধ্যেই কাশ্মীর উপত্যকায় ৭ টি এনকাউন্টারে ১৩ জন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে। ভারত-পাক সীমান্তের এই এলাকায় সর্বদাই জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ স্থল হিসেবে সুবিধাজনক।