সিরিজে প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরিয়নে প্রোটিয়াদের দুর্গ ভেঙেছিল ভারত। দ্বিতীয় টেস্টে জোহানেসবার্গের ভারতের অপরাজিত দৌড় থামিয়ে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক ডিন এলগারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল তারা। তবে কেপটাউনে তৃতীয় টেস্টে নামার আগে ভারতের পক্ষে একটাই আশার কথা। ফিরতে পারেন বিরাট কোহলি। তিনি অনেকটাই সুস্থ। বৃহস্পতিবার ম্যাচ শেষে সে কথাই শুনিয়ে গেলেন কেএল রাহুল। এদিন ম্যাচের পর রাহুল জানান, “বিরাট ইতিমধ্যেই বেশ ভাল জায়গায় রয়েছে। একটু একটু ফিল্ডিংও শুরু করেছে। দৌড়নো শুরু করেছে। কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। শারীরিক ভাবেও অনেকটা ভাল জায়গায় রয়েছে। আশা করা যায় পরের টেস্টের আগে একদম ঠিক হয়ে যাবে। তবে সিরাজের চোট নিয়ে একটু চিন্তা রয়েছে। ওকে অনুশীলনে আগে দেখতে হবে। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের পর সঙ্গে সঙ্গে ফেরা একটু কঠিন ব্যাপার। তবে আমাদের বেঞ্চের শক্তি অনেক ভাল। উমেশ আর ইশান্ত বসে রয়েছে।”
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হিসাবে দায়িত্ব পেলেও শুরুটা ভাল হল না রাহুলের। জোহানেসবার্গে প্রথম বার হারল ভারত। কোথায় পার্থক্য গড়ে দিলেন এলগাররা? রাহুল মনে করছেন, তাঁরা অন্তত ৬০-৭০ রান কম তুলেছিলেন। বলেছেন, “প্রতিটা টেস্ট ম্যাচেই জেতার লক্ষ্যে খেলতে নামি। কিন্তু বলতে বাধা নেই, এই টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা দারুণ খেলেছে। যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে ওরা। ১২২ রান দরকার ছিল। পিচে বল পড়ে হালকা ওঠানামা করছিল। আমাদের সুযোগ ছিল। কিন্তু ওদের ব্যাটাররা কোনওরকম সুযোগ দেয়নি। প্রথম ইনিংসে ২০২ তুলেছিলাম। কিন্তু ৬০-৭০ রান বেশি তোলা উচিত ছিল। তাতে ওরা চাপে পড়ে যেত। তবে হার বরাবরই আমাদের আরও তাতিয়ে দেয়। পরের টেস্টে আরও শক্তিশালী হয়ে আমরা ফিরে আসব।” টেস্টের প্রথম ইনিংসে বল হাতে ৭ উইকেট নিয়ে সফল হয়েছিলেন শার্দূল ঠাকুর। দ্বিতীয় ইনিংসে তেমনই ভাল ব্যাটিং করেছেন চেতেশ্বর পূজারা এবং অজিঙ্ক রাহানে। তিনজনেরই প্রশংসা শোনা গেল রাহুলের মুখে। বলেছেন, “শার্দূল এর আগেও অনেক বার ভাল বোলিং করেছে। ব্যাট হাতেও ভাল খেলেছে। এই ইনিংসেও শুরুটা ও-ই করেছিল। আর রাহানে-পূজারাকে নিয়ে তো আলাদা করে বলার কিছুই নেই। বছরের পর বছর ধরে দলের ভালর জন্য খেলছে। আমার মতে, এই দলে ওরাই সব থেকে ভাল মিডল অর্ডার ব্যাটার।”