দেশে কোভিডের সংক্রমণ ফের বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক অবস্থা চাঙ্গা রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে সাধারণ নাগরিকের হাতে নগদের জোগান আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর বক্তব্য, বাংলার লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প গোটা দেশকে চলতি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। ফেব্রুয়ারিতে নির্মলা ২০২২-’২৩ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করবেন। তার আগে রাজ্যগুলির অভিমত শুনতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের হাতে নগদের জোগানই এই মূহূর্ত আর্থিক মেরুদণ্ড মজবুত রাখতে সক্ষম। আর্থিক অবস্থা চাঙ্গা রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে সাধারণ নাগরিকের হাতে নগদের জোগান আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর বক্তব্য, বাংলার লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প গোটা দেশকে চলতি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে।
চন্দ্রিমা জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ারও দাবি তুলেছেন। অর্থ মন্ত্রকের হিসাবেই গত অর্থ বছরে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা পাওনা বকেয়া রয়েছে। রাজ্যের হিসাবে অবশ্য বকেয়ার পরিমাণ আরও বেশি। প্রায় ২০৮০ কোটি টাকা।