চিকিৎসকদের বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লীর রাজপথ। আন্দোলনকারী ডাক্তারদের সঙ্গে দফায়-দফায় অশান্তিতে জড়াচ্ছে পুলিশও। পুলিশি ‘হামলা’র প্রতিবাদে সোমবার রাতে সরোজিনী থানা ঘেরাও করেন চিকিৎসকেরা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও বাঁধে। আবার মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট অবধি মিছিল করার কথা ছিল বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের। কিন্তু পুলিশি বাধায় তা আটকে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয় দিল্লীর রাজপথ। এদিকে পুলিশি ‘হামলা’র প্রতিবাদে আন্দোলনে যোগ দেন এইমসের চিকিৎসকেরা।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে নিট পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জন্য সেই পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। অবশেষে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা হয়। তার পরেও কাউন্সেলিং হয়নি। এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন দিল্লির একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
তাঁদের এই আন্দোলনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে রাজধানীতে। কাউন্সেলিং দ্রুত শুরু না হলে দিল্লির সমস্ত হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা স্থগিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের চিকিৎসকদের কথায়, ‘এতদিন অপেক্ষা করেছি। কিন্তু সরকার কোনও কথাই শুনছে না। তাই আন্দোলন ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না আমাদের’।
মঙ্গলবার পুলিশ-চিকিৎসকদের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, প্রতিবাদ মিছিলের সময় অন্যায়ভাবে হামলা করেছে পুলিশ। মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাঁদের দাবি, দিল্লীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আইটিও বন্ধ করে প্রতিবাদ করছিলেন চিকিৎসকেরা। রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে চিকিৎসকেরা পুলিশের উপর হামলা করে। পুলিশ কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি ভাঙচুর হয় গাড়িও। বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে এইমসের ডাক্তাররাও। হাসপাতালগুলির গেট আটকে ডাক্তারদের আটকানোর চেষ্টা চলছে।