এটাই ছিল প্রতিযোগিতা মূলক ক্রিকেটে গম্ভীরের শেষ ম্যাচ। সেখানেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কেরিয়ারের ৪৩তম সেঞ্চুরি করলেন তিনি। দিনের চতুর্থ ওভারে আয়াপ্পা বান্দারুর বলে দুই রান নিয়ে তিন অঙ্কে পৌঁছন তিনি। বিদায়ী ম্যাচে রাঙিয়ে দিয়ে গেলেন তিনি।
গত ৪ঠা ডিসেম্বর টুইট করে গম্ভীর অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন। বলে দিয়েছিলেন যে, ঘরের মাঠ ফিরোজ শাহ কোটলায় দিল্লি বনাম অন্ধ্রপ্রদেশের রঞ্জি ম্যাচই তাঁর শেষ। এরপর আর বাইশ গজে নামবেন না তিনি। হাতে তুলবেন না ব্যাট। শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে গম্ভীর খেলে ফেলেলেন জীবনের অন্তিম ইনিংস। ক্রিকেট বিধাতার ইচ্ছায় ফেয়ারওয়েল ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখলেন ঝকঝকে সেঞ্চুরিতে।
গম্ভীরের হাত থেকে এসেছে ১৮৫ বলের অনবদ্য ১১২ রানের ইনিংস। শতরানের পথে দশটি চার এসেছে দিল্লি নিবাসীর ব্যাট থেকে। অন্ধ্রর প্রথম ইনিংসের ৩৯০-এর জবাবে দিল্লি স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৪০৯ রান। এদিন দিল্লির হয়ে দু’রানের জন্য সেঞ্চুরি মাঠে রেখে আসতে হয়েছে অধিনায়ক ধ্রুব শোরেকে। ৯৮ রানে আউট হয়ে যান তিনি।
গতকাল গম্ভীরকে দু’দলের পক্ষ থেকেই গার্ড অফ হনার দেওয়া মাঠে নামার সময়। এছাড়াও একজন ফ্যান নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে গম্ভীরের সঙ্গে সেলফি তোলারও চেষ্টা করেন। ম্যাচ দেখতে মাঠে হাজির ছিলেন গম্ভীরের স্ত্রী ও দুই কন্যা। গম্ভীরের বিদায়ী ম্যাচে অন্ধ্রই তাঁকে সেঞ্চুরিটা উপহার দিল। গম্ভীর দু’বার স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু ফিরোজ শাহ কোটলা গম্ভীরকে শতরানই দিল। গম্ভীরের বিদায়ের সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেটের একটা অধ্য়ায়।
১৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার পর গত মঙ্গলবার এক ফেসবুক বার্তায় সমস্ত রকমের ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন গম্ভীর। ২০১৬ সালে রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। ৫৮ টেস্টে তিনি করেছেন ৪১৫৪ রান। ওয়ানডে ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে যথাক্রমে ৫২৩৮ ও ৯৩২ রান রয়েছে তাঁর। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তিনি দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি, ৭৫ রান করেছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালেও তিনি দলের হয়ে সর্বাধিক, ৯৭ রান করেছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তিনি ১৫,০৪১ রান করেছেন। লিস্ট এ ক্রিকেটে গম্ভীরের ব্যাটে এসেছে ১০,০৭৭ রান। আইপিএলে দু’বার কলকাতা নাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাঁরই নেতৃত্বে।