আতঙ্কের আরেক নাম ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা উস্কে দিয়েছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ক্রমশই চওড়া হচ্ছে তার থাবা। এরই মধ্যে রাজধানী দিল্লীর স্বাস্থ্য পরিষেবা পুরোপুরী স্তব্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেন রেসিডেন্ট ডাক্তাররা। অভিযোগ, নিটের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষার পরে দীর্ঘদিন তাঁরা কলেজে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন না। এই দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ তাঁদের ওপরে ‘নির্মম দমনপীড়ন’ চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিট নিয়ে এক মাসের বেশি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার ওই সংগঠনের কয়েক হাজার সদস্য মিছিল করে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। তাঁরা তখন সরোজিনী নগর থানার সামনে অবস্থানে বসেন। অবস্থান চলে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত। কয়েক হাজার আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়।
ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন থেকে রেসিডেন্ট ডাক্তারদের অন্যান্য সংগঠনের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে তারা যেন স্বাস্থ্য পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এইমসের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলনকারীদের সমর্থন করেছে। তারা জানিয়েছে, সরকার যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় না বসে, তাহলে বুধবার থেকে জরুরি পরিষেবা বাদে অন্যান্য সব পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, গত সোমবার পুলিশ তাঁদের ওপরে দমনপীড়ন চালিয়েছে। মহিলা চিকিৎসকরাও রক্ষা পাননি। সফদরজং, আরএমএল, লেডি হার্ডিঞ্জ সহ নানা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। জুনিয়ার ডাক্তারদের অভিযোগ, নিট-পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কাউন্সিলিং নিয়ে দীর্ঘদিন টালবাহানা চলছে। এর ফলে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা। বিভিন্ন হাসপাতালে যে সংখ্যক ডাক্তার থাকা প্রয়োজন, তার মাত্র ৬৬ শতাংশ এখন রয়েছেন।
ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনীশ নিগম বলেন, সোমবার রেসিডেন্ট ডাক্তারদের এক বড় অংশ নিজেদের অ্যাপ্রন ফিরিয়ে দিয়েছেন। মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে তাঁরা মিছিল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শুরুতেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের মিছিল আটকে দেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কয়েকজন জুনিয়ার ডাক্তার আহত হন।