বছর শেষ হতে চলল। কিন্তু বাংলার কত সংখ্যক কৃষককে টাকা দেওয়া হবে তা এখনও জানায়নি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক। আর তাই প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের অর্থ রাজ্যের কৃষকরা পাবেন কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা শুরু হয়েছে রাজ্য কৃষি দফতরে। রাজ্য কৃষি দফতর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের নথিভুক্ত কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৪২ লক্ষ।
প্রসঙ্গত, রাজ্য থেকে প্রায় ৫৫ লক্ষ কৃষকের নাম ওই প্রকল্পের জন্য গিয়েছিল। ১৩ লক্ষ কৃষকের নাম এখনও প্রকল্পের আওতায় আসেনি বলেই জানতে পেরেছে কৃষি দফতর। তারা আরও জেনেছে, নতুন বছরের প্রথম দিন কিষান নিধি প্রকল্পের চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় কিস্তির টাকা নথিভুক্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। ১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়টির সূচনা করতে পারেন বলে একটি সূত্রের দাবি।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের এই প্রকল্পে প্রতি আর্থিক বছরে ২,০০০ টাকা করে তিনটি কিস্তিতে মোট ৬,০০০ টাকা দেওয়া হয়। গত আগস্ট মাসে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল দেশের কৃষকদের। কিন্তু বছরশেষেও কত সংখ্যক কৃষককে টাকা দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে রাজ্যকে এখনও কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক। তাছাড়া, রাজ্য কৃষি দফতর আগেই জানিয়েছে, আগের বার প্রায় ১২ লক্ষ নথিভুক্ত কৃষক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পাননি।
জানা গিয়েছে, সেই সময় মোট ৩৬ লক্ষ কৃষকের নাম কেন্দ্রীয় পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওই পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত হলে তবেই ওই টাকা পাওয়ার যায়। কিন্তু কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয় ২৪ লক্ষ কৃষককে। এই বিষয়টি লিখিত ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে সেই সময় জানিয়েছিল রাজ্য কৃষি দফতর। অর্থাৎ, এমন নয় যে, রাজ্য সরকার নাম পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনও ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’ রেখেছিল। তেমনই দাবি করা হয়েছে রাজ্য কৃষি দফতর সূত্রে।
রাজ্য সরকারের কৃষি দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, রাজ্যের কৃষকরা যাতে আরও বেশি সংখ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পে আর্থিক অনুদান পান, তার জন্য ৫৫ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত করে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ঠিক করে দেওয়া পদ্ধতিতে স্ব-ঘোষণাপত্র নিয়ে কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করে অনলাইনে কেন্দ্রের পোর্টালে পাঠিয়েছে রাজ্য কৃষি দফতর। কেন্দ্র তা যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছে। কিন্তু পিএফএমএস পোর্টালে নথিভুক্ত হওয়ার পরও রাজ্যের বহু কৃষক কেন বঞ্চিত হচ্ছেন সেটা বুঝতে পারছে না কৃষি দফতর।’