অবশেষে শেষ হল টানা ৬ দিনের জীবনযুদ্ধ। শুক্রবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার উস্তির উত্তরকুসুম অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি সুজাউদ্দিন গাজির। গুলিবিদ্ধ হয়ে উস্তির যুবনেতার প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেফতার ৭ জন। গুলি চালনার ঘটনায় আর কারা জড়িত, যুবনেতাকে আক্রমণের উদ্দেশ্যই বা কী, ধৃতদের জেরা করে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে উস্তির কারবালা থেকে হালদার হাটের দিকে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন ওই তৃণমূল। রাত ১০টা নাগাদ সুজাউদ্দিন গাজিকে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে। প্রকাশ্যেই গুলি চালায়। যুব তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চলে বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। গুলিবিদ্ধ যুবনেতা ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন।
এরপর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বানেশ্বরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর অস্ত্রোপচারও করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, একটি গুলিই তাঁর পেটে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালেই প্রাণহানি হয় তাঁর।
যুবনেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন মগরাহাট পশ্চিম যুব তৃণমূল সভাপতি ইমরান হাসান। তিনি জানান, শনিবার উস্তিতে প্রয়াত যুবনেতার দেহ পৌঁছবে। দলীয় অফিসে প্রয়াত নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর বাড়িতে।