সদ্যই প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল। মোট ১৪৪টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের বেছে নিয়েছেন জনতা। এবার তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার পালা। শুক্রবার দুপুরে কলকাতা পুরসভায় প্রথম দফার শপথ অনুষ্ঠান হয়ে গেল। কাউন্সিলর পদে শপথ নিলেন মূলত শাসকদলের জয়ী প্রার্থীরাই। কারণ, বিরোধী বিজেপি ও কংগ্রেসের মোট ৪ বিধায়ক গরহাজির ছিলেন। কাউন্সিলর পদে এদিনই অন্যদের সঙ্গে শপথ নিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তারপর তিনি মেয়র পদে নিজের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পুর কমিশনারের কাছে।
এদিন নির্ধারিত সময় দুপুর ২টোর পর কলকাতা পুরসভায় শুরু হয় শপথ অনুষ্ঠান। ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ-সহ পুরসভার কাজে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান পুরসচিব খলিল আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর ছেলে সৌরভ বসু, নবনির্বাচিত তরুণ কাউন্সিলরও শপথ নিয়েছেন এদিন। বাংলা ছাড়াও কয়েকজন কাউন্সিলর হিন্দি, উর্দুতেও শপথ নিয়েছেন। সুমন সিং, শচীন কুমার সিং হিন্দিতে শপথবাক্য পাঠ করেন। আবার জসিমউদ্দিন, ইকবাল আহমেদ উর্দু ভাষায় শপথ নিয়েছেন। নিজের শপথ হওয়ার পরও গোটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সহকর্মীদের পাশে রইলেন ফিরহাদ হাকিম। পুরসভায় ঢুকে বেশ কয়েকজন নতুন কাউন্সিলর ফিরহাদকে প্রণাম করে তবেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে শপথ অনুষ্ঠানে আসেননি বিজেপির তিন কাউন্সিলর – মীনাদেবী পুরোহিত, সজল ঘোষ, বিজয় ওঝা। অনুপস্থিত কংগ্রেসের সন্তোষ পাঠকও। বিরোধীদের এই অনুপস্থিতি গোড়া থেকেই অসহযোগিতার বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পাশাপাশি, শপথ অনুষ্ঠানের শেষে ভাবী মেয়র ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিক বৈঠক করেন। সঙ্গে ছিলেন দেবাশিস কুমার। আগামী ২৭ তারিখ মেয়র ও মেয়র পারিষদদের শপথ। ওইদিন শপথের পর কীভাবে পুরভোটের ইশতেহার কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, তার রূপরেখা তৈরি করবেন বলে জানান। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের কাজ বুঝিয়ে দিতে তাঁদের তালিম দেবেন পুরসভার কাজে অভিজ্ঞ দুই ব্যক্তি, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ও মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। হাতে-কলমে তাঁদের কাজ শেখানো হবে। সবমিলিয়ে, নতুন বোর্ড গড়ে নতুনভাবে কলকাতা পুরসভার কাজকর্ম ঢেলে সাজানোই লক্ষ্য। এমনই জানালেন ফিরহাদ হাকিম।