রাজ্য সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোর ভাবনাচিন্তা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ব্রাত্য বসুর কথায়, ‘রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যপাল। এরকম চ্যান্সেলর থাকলে, শিক্ষা ব্যবস্থা বিপজ্জনক হবেই৷ আমরা তাও শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো করে চালাচ্ছি। এতদিন সিবিআই, ইডি ছিল। এখন রাজ্যপাল ইউজিসি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। কোনও প্রস্তাব নেন না। উনি সব হিমঘরে পাঠান। উনি ফাইল আটকে রাখেন। বিন্দুমাত্র সহযোগী করেন না।’ এরপরই ব্রাত্য বসু বলেন, ‘খতিয়ে দেখা হচ্ছে, চ্যান্সেলর (আচার্য) পদ থেকে ওঁকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আনা যায় কিনা। উনি আলোচনায় আসেন না। এই মনোভাব কেন? উনি কী চান, তা উনিই বলতে পারবেন’।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপালের অভিযোগ, ডাকা সত্ত্বেও ওই উপাচার্যদের কেউ রাজভবনে আসেননি। শুক্রবার সকালেই বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন রাজ্যপাল।
আর রাজ্যপালের এই টুইটের কিছুক্ষণের মধ্যেই এবার মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী। ইঙ্গিত দিলেন চ্যান্সেলর পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে স্থলাভিষিক্ত করার। যদিও এ বিষয়ে এখনও রাজ্যপাল এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।