বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল বাংলায়। এবার কোচবিহারের গীতলদহে সীমান্তরক্ষা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হল এক গরু পাচারকারীর। সূত্রের খবর, বুধবার গভীর রাতে কোচবিহারের গীতলদহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১৫-২০ জনের একটি দল গরু পাচার করছিল। তখন বিএসএফের তরফে বাধা দেওয়া হয়। তাতে ওই গরু পাচারকারীরা সীমান্তরক্ষা বাহিনীর রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই আত্মরক্ষার্থে ছয় রাউন্ড গুলি চালায় নিরাপত্তারক্ষীরা। আর সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে মালদার কালিয়াচকে মাদক পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হয় এক বাংলাদেশির।
উল্লেখ্য, রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের বিএসএফের কাজের পরিসর বৃদ্ধি নিয়ে যখন রাজনৈতিক তাল ঠোকাঠুকি অব্যাহত। ঠিক সেই সময় পরপর দু’দিন বিএসএফের গুলিতে প্রাণ গিয়েছে দুই ব্যক্তির। যদিও সীমান্তরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালানো হয়েছে। মৃত ব্যক্তি কোচবিহারের বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে। এতে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞরা। এর আগে কোচবিহারের সিতাইতে বাংলাদেশ থেকে গরু পাচারের ঘটনায় গুলি চালায় বিএসএফ। যাতে বাংলাদেশের দু’জন ও ভারতের একজনের মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবার যদিও জানিয়েছিল, চাষের কাজে সীমান্তে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই গুলি চালায় বিএসএফ। ঘটনার পর বিএসএফের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, কোচবিহারের ঘটনায় ১৫-২০ জন পাচারকারী ছিল। এবার তারা সকলেই ভারতের, না বাংলাদেশের, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
