পুরভোটের প্রার্থী হয়ে অনন্যা দাবি করেছিলেন, তৃণমূলনেত্রী মমতাই তাঁর বরাবরের আদর্শ। পর পর দু’বার কাউন্সিলার পদে জয়ের পর এ বার অনন্যা ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটেও টিকিটের দাবিদার হতে পারেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠেরা মনে করছেন।
একদা সিপিএমের ‘শক্ত দুর্গ’ বলে পরিচিত পূর্ব যাদবপুরের ওই এলাকায় ২০১৫ সালের পুরভোটে অনন্যাকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। সে বার ত্রিমুখী লড়াইয়ে অনন্যার বিরুদ্ধে বিজেপি-র প্রার্থী ছিলেন আর এক অভিনেত্রী দেবিকা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু দেবিকাকে হারিয়ে পুরসভায় যান অনন্যা। তার পর থেকে দলে তাঁর গুরুত্ব বেড়েছে।
একদা কলকাতা সুন্দরীর খেতাবজয়ী এবং প্রাক্তন বিমানসেবিকা অনন্যা ২০১১ সালের আগে থেকেই রাজনীতিতে আসার চেষ্টা করছিলেন। ২০১১ সালের ‘পরিবর্তন’-এর ভোটের আগে তিনি তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করাও চেষ্টা করেছিলেন। তবে তখনও তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি। তৃণমূল ক্ষমতা আসার পরে তাঁকে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকেই তাঁর রাজনীতির যাত্রা শুরু। অনন্যার প্রথম ভোটই কাউন্সিলার পদে। প্রথম বারেই জয়ী।