লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলেই তৃণমূল ক্ষমতায় এলেই গোয়াতেও চালু হবে একই গৃহলক্ষ্মী স্কিম৷ এ দিন তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবেই এই ঘোষণা করে দেওয়া হল৷ তবে বাংলার তুলনায় পরিবার পিছু মহিলারা দশগুণ বেশি ভাতা পাবেন এই প্রকল্পে৷ তৃণমূলের ঘোষণা অনুযায়ী, তারা ক্ষমতায় এলে গোয়ায় পরিবার পিছু একজন করে মহিলা মাসিক পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন৷ ক্ষমতায় আসার একশো দিনের মধ্যে তৃণমূল এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে বলে প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে৷
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে পাঁচশো টাকা করে পান মহিলারা৷ এক্ষেত্রে অবশ্য একই পরিবারের একাধিক সদস্য এই ভাতা পেতে পারেন৷ তফশিলি জাতি, উপজাতি তালিকাভুক্তদের ক্ষেত্রে মাসিক এক হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়৷
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল৷ মূল লক্ষ্য ছিল রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মহিলা ভোটারদের মন জয়৷ ভোট বাক্সে এর সুফলও পেয়েছিল শাসক দল৷ বাংলার মতো গোয়াতেও বড় সংখ্যক মহিলা ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে৷ গোয়ায় মোট ভোটারদের ৫১ শতাংশই মহিলা৷ তাঁদের মন জয়েই এবার গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পকেই অস্ত্র করছে তৃণমূল৷
এ দিন গোয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইটারে জানানো হয়েছে, ‘প্রতি মাসে গোয়ার প্রত্যেক পরিবারকে নিশ্চিত আর্থিক সমর্থনের জন্য গৃহলক্ষ্মী কার্ড নিয়ে আসা হল৷ এই প্রকল্পে প্রত্যেক পরিবারের একজন করে মহিলার অ্যাকাউন্টে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা (বছরে ৬০ হাজার) সরাসরি পাঠিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে’৷ কীভাবে গৃহলক্ষ্মী কার্ড সংগ্রহ করে গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে, টুইটে তাও বিশদে জানানো হয়েছে৷ নিছক প্রতিশ্রুতি নয়, তৃণমূল যে সত্যিই এই প্রকল্প কার্যকর করবে, তার জন্য এখন থেকেই দলীয় কর্মীদের মাধ্যমে গৃহলক্ষ্মী কার্ড বিলি করে নাম নথিভুক্তির কাজও শুরু করে দিচ্ছে গোয়া তৃণমূল৷