বাম আমলে সেটি ছিল একটি পিছিয়ে থাকা অনুন্নত ওয়ার্ড। রাত গড়ালেই সেখানে নিশ্চুপ হয়ে যেত গোটা এলাকা। ছিল না পর্যাপ্ত আলো, ভাল নিকাশি ব্যবস্থা, বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা। অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যেত জল। কিন্তু মাত্র ১০ বছরে সেই ‘নেই রাজ্য’-এর হাল বদলে দিয়েছেন এলাকার বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত সেই ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে এখন ঝাঁ চকচকে রাস্তা থেকে আলো ঝলমলে পরিবেশ সব রয়েছে। রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পগুলি পৌঁছে গিয়েছে এলাকার মানুষের ঘরে ঘরে। ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ। এমনকী করোনা মহামারি আবহে লকডাউন ও আমফান বিপর্যয়ের মাঝে মানুষের পাশে সুশান্ত ঘোষ অভিভাবকের মতো দাঁড়িতে সমস্ত সমস্যার সমাধান করেছেন। কমিউনিটি কিচেন খুলে প্রায় নিখরচায় মানুষের খাবারের জোগান দিয়েছেন তিনি।
তবে আসন্ন পুরভোটে তপশিলি সংরক্ষণ হওয়ায় এবার অটোমেটিক চয়েজ সুশান্ত ঘোষের ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আর প্রার্থী হওয়া হয়নি। তাঁর মতো এখন যোগ্য কাউন্সিলর, উপযুক্ত অভিভাবক, দক্ষ বোরো চেয়ারম্যানকে এবার পাশের ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড় করিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েক বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ছোঁয়া ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের কাছে পৌঁছলেও এই ওয়ার্ডে এখনও অনেক কাজ বাকি বলেই মনে করেন তৃণমূল প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ। আগামীদিনে মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে এই ওয়ার্ড থেকে পুর প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে এলাকার ভোল বদলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন সুশান্ত। ১০৭ নম্বরের মতো ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডেও উন্নয়নের জোয়ার আনতে চান তিনি। মডেল ওয়ার্ড হিসেবে ১০৮ নম্বরকে কলকাতা পুরসভার বুকে প্রতিষ্ঠিত করাকেই পাখির চোখ করেছেন নিজের জয়ের ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী সুশান্ত।
