রাস্তা হোক কিংবা রেস্তোরাঁ— প্রকাশ্যে কোনও স্থানে আমিষ খাবার বিক্রি করা যাবে না। কোনও হকার যদি ডিম অথবা অন্য কোনও আমিষ খাবার বিক্রি করেন, তাহলে তাঁর খাবারের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে। গত নভেম্বরে এমনই নির্দেশ দিয়েছিল মোদী রাজ্যের আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। ওই নির্দেশের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ২৫ জন হকার। তাঁদের খাবারের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গুজরাত হাইকোর্ট নির্দেশ দিল, অভিযোগকারীরা যদি তাঁদের গাড়ি ফেরত চান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেরত দিতে হবে।
আহমেদাবাদ পুরসভাকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব বলেন, ‘আপনাদের সমস্যাটা কী? আপনারা আমিষ খাবার পছন্দ নাও করতে পারেন। সেটা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। কিন্তু আমি রাস্তায় কী খাব তা নিয়ে আপনারা কেন সিদ্ধান্ত নেবেন?’ হকারদের হয়ে গতকাল আদালতে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট রণিত জয়। তিনি বলেন, রাজকোটের এক কাউন্সিলার রাস্তায় ডিম ও অন্যান্য আমিষ খাবার বিক্রি হতে দেখে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। তারপরেই পুরসভা আমিষ খাবারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। অভিযোগ, কোনও নির্দেশ ছাড়াই রাস্তার আমিষ খাবার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।
বিচারপতি বৈষ্ণব বলেন, রাস্তায় আমিষ খাবার বিক্রি হলে পুরসভার কী সমস্যা হয়? কাল হয়তো বলা হবে, আখের রস খাওয়া বারণ। কারণ তাতে ডায়াবেটিস হতে পারে। কিংবা বলা হবে কফি খাওয়া বারণ। কারণ তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। পুরসভার কৌঁসুলি সত্যম ছায়া সাফাই গেয়ে বলেন যে, হকাররা রাস্তা আটকে খাবার বিক্রি করেন। তাতে যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হয়। সেজন্যই কয়েকজন হকারের খাবারের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এরপরই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করার নাম করে কি বাস্তবে হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছিল?