আসন্ন বড়দিনের আগেই মেঘালয় সফরে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ২০শে ডিসেম্বর অসম হয়ে সড়কপথে শিলং যাবেন তিনি। ২১তারিখ তাঁর শিলং পৌঁছনোর কথা। সেখানে সংগঠনের কাজ খতিয়ে দেখার পর সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তার আগে অবশ্য গুয়াহাটিতে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দেবেন মমতা। ভেতরের খবর এমনই। জাতীয় স্তরে দলের সংগঠন বিস্তারের কাজ শুরু করার পর থেকেই গোয়া, দিল্লী, মুম্বই সফরে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর তাঁর মেঘালয় সফরের কথা ছিল। সব ঠিক থাকলে আগামী ২০ তারিখই উত্তর-পূর্বের রাজ্যে যাবেন। গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে আগামী ২১ তারিখ পুজো দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সেখান থেকে সড়কপথে শিলং।
পাশাপাশি, আগামী ১৩ই ডিসেম্বর আবার গোয়া যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে দুজনেই গোয়ায় রাজনৈতিক সফর করেছেন। এবার আগামী সপ্তাহে ফের দু’দিন ব্যস্ত কর্মসূচী রয়েছে তাঁদের। গত ২৫শে নভেম্বর সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন বিধায়ক। এ রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞার উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। আর তাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতেই মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এরপর ৯ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে কংগ্রেসের যুব সভাপতি রিচার্ড মারাক তৃণমূলে যোগ দেন। সাংমার ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত তিনি। সাংমা তৃণমূলে যোগদানের পর থেকেই তাঁর ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখানো নিয়ে জল্পনা চলছিল। এদিন তাঁর সঙ্গে দল ছাড়েন যুব কংগ্রেসের আরও শ’পাঁচেক কর্মী। সবমিলিয়ে, মেঘালয়ে তৃণমূলের প্রসার বেশ ইতিবাচক। এই অবস্থায় স্বয়ং তৃণমূল নেত্রীর শিলং সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
