২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর এলগার পরিষদ সম্মেলনে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে ২০১৮ তে তাঁকে প্রথমে গৃহবন্দি এবং পরে হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। অবশেষে আজ মুক্তি পেলেন ভীমা-কোরেগাঁও মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আইনজীবী-সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ। গত ৩ বছর তিনি জেলবন্দি ছিলেন। বুধবারই তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়েছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার বাইকুল্লার মহিলাদের সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন সুধা। উল্লেখ্য, এই মামলায় ১৬ জন অভিযুক্তের মধ্যে তিনিই প্রথম জামিন পেলেন।
বম্বে হাই কোর্ট গত ১ ডিসেম্বরই জামিন দিয়েছিল তাঁকে। সেই রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এনআইএ। শীর্ষ আদালত শুনানিতে জানিয়েছিল, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ দেখছি না।’ তখনই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল তাঁর জামিনের বিষয়টি। অবশেষে ৫০ হাজার টাকা বন্ডে তাঁর জামিনে মঞ্জুর করেছে এনআইএ বিশেষ আদালত। তবে তাঁকে জামিন দেওয়ার সময় বিশেষ শর্ত রেখেছে আদালত। প্রতি ১৫ দিন অন্তর তাঁকে সশরীরে কিংবা ভিডিও কলে নিকটবর্তী থানায় হাজিরা দিতে হবে।
এছাড়া ৬০ বছরের সমাজকর্মীকে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে বলেও আদালত জানিয়েছে। এবং তিনি মুম্বই ছাড়তে পারবেন না। যদি বিশেষ ক্ষেত্রে শহর ছাড়ার প্রয়োজন পড়ে, সেক্ষেত্রে তাঁকে আদালতের কাছে অনুমতি চাইতে হবে। মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলা কিংবা আন্তর্জাতিক কলও করতে পারবেন না তিনি। পাশাপাশি বিশেষ আদালত জানিয়েছে, এই মামলা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলতে পারবেন না তিনি। আদালতের এই নির্দেশের প্রতিবাদ করে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, এই রায় বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী।