তামিলনাড়ুর কুন্নুরে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও তাঁর স্ত্রীর পাশাপাশি প্রাণ গিয়েছে মোট ১৩ জনের। এদের মধ্যে রয়েছে এ রাজ্যের দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা সতপাল রাই। তাঁর মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান পাহাড়। দার্জিলিংয়ের তাকদা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন সতপাল।
সতপালের বাবা আছেন পঞ্জাব পুলিশে, নাম বাহাদুর সিং রাই। তাঁর ছেলে আছেন সেনাবাহিনীতে। পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার সকালেই বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন সতপাল। কিন্তু দুপুরের পরেই কপ্টার দুর্ঘটনা কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ।
বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী মন্দিরা, রয়েছে ছেলে বিক্কল। ছোটবেলা থেকে চা-বাগান ঘেরা সুন্দরী তাকদাতেই বড় হয়েছিলেন সতপাল। কিন্তু দেশের অন্য এক প্রান্তের চা-বাগানে এক অভিশপ্ত দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সতপালের। সতপালের একটি ছবি দিয়ে ইতিমধ্যে শোক প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, সতপাল বিপিন রাওয়াতের পিএসও হিসাবে কাজ করছিলেন।
দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। আজ, অর্থাৎ শুক্রবার। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে দিল্লী এলাকায় শেষকৃত্য হবে বিপিনের। তার আগে বিপিন ও তাঁর স্ত্রীয়ের দেহ রাখা থাকবে তাঁদের দিল্লীর বাড়িতে। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ২টো পর্যন্ত তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এর পর শেষ যাত্রা শুরু হবে কামরাজ মার্গ থেকে।
বৃহস্পতিবারই এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদে বিবৃতি দিতে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত সংসদকে জানাবেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে তদন্তে। প্রাথমিক ভাবে বায়ুসেনা সূত্রে খবর, দৃশ্যমানতা কম থাকার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।
২০১২ সাল থেকে Mi17V5 কপ্টারটি ভরসাযোগ্য একটি কপ্টার হিসাবে কাজ করছে। সেখানে যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি হয়ত ততটা গুরুত্ব দেওয়া যায় না। তবে অন্য এক সংবাদ সংস্থার খবর অনুসারে, জেনারেল রাওয়াতের কপ্টারটি কোন পথে যাচ্ছে, তার গতিবিধি ধরা সম্ভব হয়নি রেডারে। কারণ, কোয়েম্বাটোরে নিম্ন উচ্চতায় চলা আকাশযানের গতিপথ ধরার কোনও রেডার নেই।