জয় দূর অস্ত। এমনকী গোটা তিরিশেক ওয়ার্ডও নয়। এবার ১৪৪-এ লক্ষ্য মাত্র ১০! কলকাতা পুরভোটে নিয়ে দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকের এই লক্ষ্যমাত্রা ঘিরে আলোচনার জেরে জোল বিতর্ক বিজেপির অন্দরে। কয়েকমাস আগে বিধানসভা ভোটের যুদ্ধে যারা সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখেছিল, রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র কলকাতা পুরভোটে তাদের লক্ষ্য নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি শেষমেশ খেলার আগেই হার মানল গেরুয়াশিবির? গতবার সাতটি ওয়ার্ডে জিতেছিল বিজেপি। বামেরা ১৫, কংগ্রেস পাঁচটিতে জয়ী হয়। পরে বিজেপির দু’জন (৭ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ড) তৃণমূলে যোগ দেন। এবার দশটিতে জয় পাওয়াও যে বড়ই কঠিন, তা মেনেই রণকৌশল সাজাচ্ছেন পদ্মনেতারা। দলীয় সূত্রের খবর, সোমবার রাতে প্রার্থীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয় আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে। সেখানে রাজ্য বিজেপি সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বিজেপি কর্মীদের একাংশের দাবি, বৈঠকে দশটি ওয়ার্ড নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেগুলিতে বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে জেতাতে ঝাঁপাবেন এক রাজ্যনেতা। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, কেন শুধু এই দশটি ওয়ার্ড। যা নিয়ে দলের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে গুঞ্জন। উল্লেখ্য, এখনই প্রার্থীদের একটা অংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দলের আর্থিক সাহায্য না পাওয়ায়। শুধু তাই নয়, যাঁদের ভোট সেনাপতি করা হয়েছিল, তাঁদের অনেককেই কেন দেখা যাচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কিছু প্রার্থী। ফলে অস্বস্তিতে গেরুয়া নেতারা। কলকাতা পুরভোটের প্রার্থীতালিকা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে। শুধু কর্মীরাই নন, অনেক পুরনো নেতাও মাঠে নামেননি। সোমবার দুপুরে রাজ্য দপ্তরে বৈঠকের পর সমস্যা আরও বাড়ল। তার আভাস ওই বৈঠকে রাজ্য সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর বক্তব্য। যেখানে তিনি বলেছেন, “আপনারা তো দেখছি ভোটের আগেই হেরে বসে আছেন।” মালব্যর এই মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, “বিজেপির যিনি ডিফেন্ড করবেন তিনিই বলছেন হেরে গিয়েছি। তৎকাল বিজেপির জন্য পুরনো বিজেপি সরে গিয়েছে। হতাশা থেকেই অমিত মালব্য এইসব কথা বলছেন।”
