কলকাতার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে এবারের ভোট লড়ছেন মোট ১৬ জন। মজার ব্যাপার, একটা ইভিএমে ঘরও থাকে ১৬টি। কার্যত ইভিএমের কোনও ঘর ফাঁকা থাকছে না। একেবারে ভরাট ইভিএম। তার কারণ সংখ্যাটা ১৬ থেকে ১৭ হয়ে গেলেই কমিশনকে একটি ইভিএমে বসাতে হত দুটি ব্যালট ইউনিট। এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন মহম্মদ জসিমুদ্দিন, বিজেপির প্রার্থী মহম্মদ জাহাঙ্গির, কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন আলি হুসেন, আর বামফ্রন্ট মনোনীত ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী শুভঙ্কর রায়। বাকি ১২ জন নির্দল প্রার্থী। তাঁরা হলেন, সাজিদ আকবর, সেলিম আফরোজ, মহম্মদ সামশের সিদ্দিকি, মহম্মদ আলমগীর, আবদুল ওয়াজিদ, মহম্মদ সামশাদ, মহম্মদ মানোয়ার আলি, মহম্মদ শাহ আলম, ওয়াসিম রাজ, সাহেব আলম, রমেশ দাস, বিশাল গুপ্ত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মার্কেটিং কোর্সে একটি থিওরি পড়ানো হয়। বিশেষত বিপণনের ক্ষেত্রে এই তত্ত্ব অভ্যর্থ বলেই মত অনেকের। বলা হয়, একটি শাড়ির দোকানে শুধু এক ধরনের শাড়ি রাখলে হবে না। অর্থাৎ কেউ যদি মনে করেন শুধুই তাঁতের শাড়ি রাখব তাহলে বাজারে চলবে না। সব রাখতে হবে। সিল্ক, তাঁত, সিফন, জরজেট, লেটেস্ট ফ্যাশন কিংবা বাংলা সিরিয়ালে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন শাড়ি, কিছুই যেন বাদ না যায়। ক্রেতা এসে এক জায়গাতেই সব পেয়ে যাবেন। তিনি পছন্দমতো শাড়ি বেছে নিয়ে যেতে পারবেন। ভোট যদি হয় গণতন্ত্রের উৎসব, তাহলে এই এক ওয়ার্ডে ১৬ প্রার্থীর সমারোহ নিছক মন্দ নয় বলেই মত অনেকের। অনেকের মধ্যে নিজের পছন্দের লোকের পাশের বোতামে চাপ দিতে পারবেন মানুষ।
