কিউয়িদের বিরুদ্ধে সহজেই টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। অধিনায়ক হিসেবে ফের দলকে শীর্ষস্থানে তুলে এনেছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁর অধিনায়কত্বেথ ভবিষ্যৎ কী? টি-টোয়েন্টির পরে কি এ বার এক দিনের অধিনায়কত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হবে বিরাটকে? নাকি এখনকার মতো তাঁর উপরেই ভরসা দেখাবে ম্যানেজমেন্ট? দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট ও এক দিনের সিরিজের জন্য চলতি সপ্তাহেই দল নির্বাচন করতে বসবে নির্বাচক কমিটি। তার আগে বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সচিব জয় শাহের সঙ্গেও নাকি কথা বলেছেন নির্বাচকরা।
এবিষয়ে বোর্ডের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব ধরে রাখা সম্ভবত বিরাটের পক্ষে কঠিন হতে চলেছে। কারণ সাদা বলের ক্রিকেটে দু’টি আলাদা ফরম্যাটের জন্য দু’জন আলাদা অধিনায়ক চাইছেন না নির্বাচকরা। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে রোহিতের উপরেই ভরসা করতে চাইছেন তাঁরা। তবে চলতি বছর যেহেতু এক দিনের ম্যাচ খুব কম রয়েছে তাই এই সিদ্ধান্ত আরও কিছু দিন পিছিয়ে যেতে পারে।
পাশাপাশি, সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ভারতের দুই টেস্ট ক্রিকেটার অজিঙ্ক রাহানে ও চেতেশ্বর পূজারার ভবিষ্যৎ নিয়েও। লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা দলে ফিরলে তাঁরাই হবেন ওপেনার। আর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুভমন গিল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, শ্রেয়স আয়াররা যে ভাবে খেলেছেন তাতে তাঁদের মিডল অর্ডারে খেলানো হতে পারে। দলের অন্যতম ফাস্ট বোলার ইশান্ত শর্মার ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে। বেশ কিছু টেস্টে সে ভাবে উইকেট পাননি তিনি। অন্য দিকে মহম্মদ সিরাজ ভাল ছন্দে রয়েছেন। ফলে মহম্মদ শামি ও যশপ্রীত বুমরার সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসেবে তাঁর কথা ভাবতে পারেন নির্বাচকরা।